নোলান।
তিনি বরাবরই বড় পর্দায় ছবি দেখার পক্ষপাতী। ক্রিস্টোফার নোলানই একমাত্র পরিচালক, যিনি করোনার মাঝে ঝুঁকি নিয়ে তাঁর ছবি ‘টেনেট’ প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ় করেছেন। ওটিটিতে ছবি দেওয়ার বদলে যে দেশে যখন সিনেমা হল খুলেছে, সেখানে ছবি রিলিজ় করিয়েছেন। ‘টেনেট’ ওয়ার্নার ব্রাদার্সের প্রোডাকশন, যারা কিছু দিন আগেই ঘোষণা করেছে ২০২১ সালে তাদের সব ছবি সিনেমা হলের পাশাপাশি একই দিনে এইচবিও ম্যাক্সে (ওটিটি) দেখা যাবে। প্রযোজনা সংস্থার এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নোলান বলেছেন, ‘‘এটা অবিশ্বাস্য একটা ঘটনা, যা কাউকে না জানিয়েই নেওয়া হয়েছে। এই স্টুডিয়োয় ভাল পরিচালক, তারকা কাজ করেন। তাঁরা আশা করেন, তাঁদের কাজ বড় পর্দায় দর্শক দেখতে পারবেন। আলোচনা না করেই ওটিটিতে ছবি দেওয়া মূর্খের কাজ।’’
যেহেতু দর্শক সিনেমা হলে আসছেন না, তাই প্রোডাকশন হাউসগুলো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মেরই মুখাপেক্ষী হচ্ছে। তবে বক্স অফিসের তুল্য টাকা রোজগার ওটিটি থেকে হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ছবি ফেলে রাখার বদলে কিছু টাকা ঘরে তোলাও জরুরি নির্মাতাদের কাছে। প্রযোজকদের এই ধারণা সম্পর্কে নোলান বলেছেন, ‘‘ওয়াল স্ট্রিটের সবচেয়ে আনকোরা ব্যবসায়ীও এর চেয়ে ভাল অর্থনীতি জানে।’’ ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে ‘ইনসেপশন’-এর সময় থেকে কাজ করছেন পরিচালক। এই মন্তব্য সেই সম্পর্কে কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, সেটাই দেখার।