ছোট থেকে বাবা বাইরে, মায়ের সঙ্গে রাজস্থানে থাকতেন বিবৃতি
শৈশবের অনেকখানি রাজস্থানে কেটেছে। বড়দিন, ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজ— ইয়োরোপীয়দের হাত ধরে ঢোকা এই উৎসবগুলির প্রভাব সেখানে তেমন ছিল না সে সময়ে। উপরন্তু মিশনারি স্কুলে পড়াশোনাও করিনি। ছোট থেকে তাই বড়দিন নিয়ে মাতামাতি ছিল না বাড়িতে। তা ছাড়া বয়সের তুলনায় সব সময়েই আমি পরিণত মস্তিষ্কের। তাই সান্তা ক্লজের রহস্য আমি ছোটবেলাতেই উদ্ঘাটন করে ফেলেছি।
বাবা চাকরিসূত্রে আলাস্কায় থাকতেন। ছ’মাস ওখানে, ছ’মাসে কলকাতায় থাকতেন সে সময়ে। মায়ের শিক্ষকতার সূত্রে আমি রাজস্থানে। মা-বাবাও সময় পাননি সান্তা সাজার। তার পরে ২০১২ সালে বাড়িতে আগুন লেগে বাবা চলে গেলেন। তাই পরিবারের সঙ্গে বড়দিন পালন করার সুযোগও তেমন পাইনি।
দিদার সঙ্গে কলকাতায় থাকতে চলে আসি। সেই থেকে বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করা শুরু। আর এখন? গত চার বছর ধরে নিয়ম করে আমার বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাই এই দিনে। দিতি সাহা। আলাপ পেশাগত কারণেই। কিন্তু সেই সমস্ত কারণ এখন অ-কারণ হয়ে গিয়েছে। আমার দুঃখ-রাতের সঙ্গী সে।
আমরা ২৪ ডিসেম্বর রাতে একসঙ্গে থাকি। সারা রাত ‘ক্রিসমাস’-এর বিভিন্ন ছবি এবং ওয়েব সিরিজ দেখি। তার আগে পার্ক স্ট্রিটে চক্কর দিই দু’জনে মিলে। আর ২৫ তারিখ দুপুর থেকে মায়ের সঙ্গে সময় কাটাই। এই উৎসবের মেজাজ জমাট থাকে বছর শুরু হওয়ার পরেও। এ বারও তাই। পরিকল্পনায় নড়চড় নেই। তবে মাঝে দু’দিনের জন্য কলকাতার বাইরে যেতে হবে। ছবির শ্যুটিং আছে।
বাকিটা? দেদার মজা আর শীত-পার্বণে মেতে ওঠা!