প্রতিষ্ঠা দিবসে চিলড্রেন্স লিটল থিয়েটারের আয়োজন। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৫১ সালে শুরু পথচলা। তার পর কেটে গিয়েছে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়। ১৯৫১-য় স্কাউট মাস্টার ও পেশায় সেন্ট্রাল টেলিগ্রাফের চিফ সুপারইনটেনডেন্ট স্থাপন করেছিলেন যে প্রতিষ্ঠান, এখনও অব্যাহত তার পথচলা। সেন্ট্রাল টেলিগ্রাফের চিফ সুপারইনটেনডেন্ট শ্রী সমর চট্টোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘রিদ্ম অ্যান্ড রাইম্স’। শিশুদের আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হয় তাদের নাচগানের এই অনুষ্ঠান। পরবর্তী কালে ওই প্রতিষ্ঠানই পরিচিত হয় ‘চিলড্রেন্স লিটল থিয়েটার’ ওরফে ‘শিশু রংমহল’ নামে। একাধিক নামজাদা মানুষের সংস্পর্শে সিএলটি হয়ে ওঠে ভারতের সর্বপ্রথম শিশুদের থিয়েটার। শুধু ভারতেই নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছ়ড়িয়ে পড়ে সিএলটির নাম। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও দর্শকের মন জয় করে চিলড্রেন্স লিট্ল থিয়েটার।
চিলড্রেন্স লিট্ল থিয়েটার যেমন ঋদ্ধ হয়েছিল সমর চট্টোপাধ্যায়ের নিজস্ব লেখনীতে। ছড়া থেকে শুরু করে নাটক, নৃত্যনাট্যেও ধরা পড়েছিল শিশুদের প্রতি তাঁর দরদ। তাঁর প্রয়াণের পরেও শিশুদের অনাবিল আনন্দ দেওয়ার সেই ধারা বজায় রেখেছে চিলড্রেন্স লিটল থিয়েটার।
সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রছাত্রীদের সংস্কৃতির শিকড়ের কাছাকাছি রেখেছে চিলড্রেন্স লিটল থিয়েটার। নাচ, গান, নাটক থেকে শুরু করে নাটক, আবৃত্তি, আঁকা, এমনকি টেবিল টেনিস ও রোলার স্কেটিংয়েও পড়ুয়াদের তালিম দিয়ে চলেছে সিএলটি। চলতি বছরে ৭২তম প্রতিষ্ঠা দিবসেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে চিলড্রেন্স লিটল থিয়েটার। ৮ মে অবন মহলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চিলড্রেন্স লিটল থিয়েটারের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকতে চলেছেন কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। প্রতি বছরের মতো এই বছরও নাচেগানে ভরে উঠবে অবন মহল প্রেক্ষাগৃহ, আশা চিলড্রেন্স লিটল থিয়েটার কর্তৃপক্ষের।