তীব্র গরমে অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীর কথা ভেবে কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ফেডারেশন? — ফাইল চিত্র।
চারিদিকে তীব্র দাবদাহ। দু’দিন হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে স্কুল কলেজগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেসরকারি স্কুলগুলি আবারও চালু করে দিয়েছে ‘অনলাইন ক্লাস’। এই পরিস্থিতিতে অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীর কথা ভেবে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ফেডারেশন। শুটিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। এমনটাই জানালেন ‘ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস।
মাসের দ্বিতীয় রবিবার ছাড়া সিরিয়ালের শুটিং চলে প্রতি দিন। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে চলে শুটিং। সিরিয়ালের ব্যাঙ্কিংয়ের প্রবল চাপের জন্য অনেক সময় ছুটি পাওয়াও চাপ হয়ে যায় অভিনেত্রীদের। তার সঙ্গে আউটডোর শুটিং তো রয়েছেই। অনেক সময় বিভিন্ন দৃশ্যের জন্য এসি ফ্লোরের বাইরেও শুটিং করতে হয়। এই সময় আউটডোর শুটিং করা সত্যিই কষ্টকর। আনন্দবাজার অনলাইনকে স্বরূপ বলেন, “এখনই আমি প্রযোজক গিল্ড (ডব্লুএটিপি) এবং ইম্পাকে (ইস্টার্ন ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়াশন) মেল করছি। এই গরমে শুটিং করা সত্যিই কষ্টকর। তাই বেশ কিছু বদল করতে হবে। তাই আলোচনায় বসার জন্য মেল করছি। আউটডোর শুটিং যাতে এখন বন্ধ থাকে তার চেষ্টা করছি। শুটিংয়ের সময়েরও বদল আনা প্রয়োজন। দুপুরের সময়টুকু যাতে শুটিং বন্ধ থাকে, তেমনই প্রস্তাব রাখা হবে আমাদের তরফে।”
গরমে সত্যিই নাজেহাল অভিনেতারা। এক দিকে ৪১ ডিগ্রি গরমে প্রায় ১৪ ঘণ্টা শুটিং, তার মাঝেই আবার ক্যামেরার সামনে সুশ্রী দেখাতে হবে নিজেকে। এই চাপে সত্যিই কঠিন অবস্থা তাঁদের। ‘সোহাগ জল’ সিরিয়ালের নায়ক হানি বাফনা বলেন, “আমি তো প্রতি দিন বেলের শরবত খেয়ে বাড়ি থেকে বার হই। তা ছাড়া প্রচুর পরিমাণে ডিটক্স ওয়াটার খাচ্ছি। বলা যেতে পারে আমি জলের উপরেই আছি। এখন অবশ্য প্রোটিন খাওয়া কিছুটা কমিয়েছি।” অন্য দিকে, আউটডোর শুটিং ‘পঞ্চমী’ সিরিয়ালের নায়িকা সুস্মিতা দে-র কাছে খানিকটা বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, “গরমে পিচের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটা খুব কঠিন। তবে এখন আউটডোর শুটিং একটু কম রাখা হচ্ছে। আমি তো ওআরএস আর তরমুজের উপরেই বেঁচে আছি।” অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিকেরও একই কথা। অনেক দিন হল তিনি মাছ, মাংস, ডিম খান না। প্রোটিন না খাওয়ায় শরীর আগের তুলনায় এমনিই ঠান্ডা থাকে। তবে শহরের অন্য মানুষদের কষ্ট দেখে নিজের কষ্ট তেমন গায়ে লাগে না সপ্তর্ষির।