জানতে চান কী ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হয়েছে ডিডিএলজে-র ক্লাইম্যাক্স? ২২ বছর আগে রোম্যান্টিক হিরো ‘রাজ’ (শাহরুখ) ট্রেন থেকে হাত বাড়িয়ে ‘সিমরন’ থুড়ি কাজলকে ডেকেছিল। তারপর কী হল? কী বলল সিমরন? দৌড়তে দৌড়তে ক্লান্ত সিমরান রাজকে বলল, ‘‘ট্রেন থেকে নেমে যাও রাজ, কারণ ট্রেনের ভাড়া বেড়ে গিয়েছে।’’
সিমরনের পিছনে যদি ডান্ডা উঁচিয়ে গুন্ডা ধাওয়া করত? রাজকে এতবার ডাকতেই হত না। এমনিতেই পড়িমড়ি করে দৌড়ে ট্রেনে উঠে যেত সিমরন।
রাজ যদি বুলেট ট্রেনে চড়ত? আরে মোদী জমানা ভাই! সিমরন কী তবে আরও জোরে ছুটত? শেষমেশ ট্রেন পেত তো!
রাজ কেন নামেনি ট্রেন থেকে? আবার আইআরসিটিটি-র ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে, এই ভয়ে? বড় খাটনির কাজ যে সেটা!
ট্রেনে উঠতে না পারলে কী হত? কী আবার হত, সিমরন আবার ফিরে যেত!
সিমরন তো বুদ্ধিটাই খরচ করেনি। আরে এত ছোটার দরকার কী? সামনেই তো আর একটা দরজা ছিল না কি!
‘চেন টেনে ট্রেন দাঁড় করাও রাজ, আর ছুটতে পারছি না!’ রাজ খুব বিরক্ত। জানাল, ‘পাগলামো কোরো না সিমরন, এটা যশ রাজ ব্যানার।’
ট্রেনেতেই তারা সুখে সংসার পাতল।
রাগী বাবা অমরিশ পুরী। ‘যা সিমরন যা’ না বলে তাড়িয়েই দিল মেয়েকে।
রাগী বাবা অমরিশ পুরী যখন সিমরনের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিল, সিমরনের কী মনে হয়েছিল? অনেকটা শীতকালের ঘুমের মতো। লেপের আরাম থেকে উঠতে ইচ্ছে করছে না, কিন্তু উঠতেই হবে!
আচ্ছা যদি পিকে (আমির খান) শাহরুখের জায়গায় থাকত। অবশ্যই হাতে রেডিও ধরে, তা হলে কী হত? আরে পিকে বলত, ‘‘নিজের দায়িত্বে ট্রেনে ওঠো সিমরন। আমার তো হাত জোড়া।’’
ডেকে ডেকে ক্লান্ত রাজ। সিটে গিয়ে বসে পড়েছে। টিটি এসে বলে গেল, ‘‘ম্যাডাম! আর দৌড়ে কাজ নেই। আগামিকাল সন্ধ্যায় অন্য ট্রেন চড়ে চলে আসবেন।’’