তবে কি বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাসী নন চান্দ্রেয়ী? ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম ছবি ২০০৪ সালে। প্রায় ১৮ বছরের উপর এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি চান্দ্রেয়ী ঘোষ। ছোট পর্দা, বড় পর্দা সব মাধ্যমেই কাজ করছেন। এতগুলি বছর পার করেও বিতর্ক থেকে যোজন দূরে। সম্পর্কের গুঞ্জন, প্রেম ভাঙা সে সবও আড়ালেই রেখেছেন। তা হলে কি এতগুলি বছর ধরেই অভিনেত্রী সিঙ্গল? এমনিতে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে বিয়ে নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তারকাদের ক্ষেত্রে কি সামান্য রেয়াত করে সমাজ-আত্মীয় স্বজনেরা? চান্দ্রেয়ী জানান, এমনিতেই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিশেষ চর্চা হোক, তিনি চান না। খানিকটা আড়ালেই বিশ্বাসী। তবে বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে একাধিক বার। শুনতে হয়েছে, ‘‘বিয়ে কবে করবি?’’
জবাবটা জানা তাঁরও। চান্দ্রেয়ীর কথায়, ‘‘তোমার জীবনে তুমি কি করতে চাও সেটা তোমার ব্যাপার। যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, তা হলে চাপের কাছে মাথা নুইয়ে ফেলায় সার্থকতা কোথায়?’’
আরশি সিরিজ়ে কুড়ি বছর ফের শিলাজিতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা চান্দ্রেয়ীর। ছবি: সংগৃহীত।
তাহলে কি বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাসী নন চান্দ্রেয়ী? উত্তর এল, ‘‘নাহ্, আসলে বিয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে অবিশ্বাস, তা নয়। তবে বিয়ে নামক কোনও কিছুর মধ্যে এখনই জড়াতে চাই না। তবে ২৬ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে চান্দ্রেয়ী ঘোষের নতুন সিরিজ ‘আরশি’। সেখানে তিনি বিবাহিতা। স্বামী, সন্তান নিয়ে সংসারী। কিন্তু অনলাইনে চ্যাট করতে প্রেমে পড়েন অন্য পুরুষের। বাস্তব জীবনে অবশ্য অনলাইনে প্রেম, হাল আমলের ডেটিং অ্যাপ, সে সব থেকে শত হাত দূরেই থাকেন অভিনেত্রী। চান্দ্রেয়ীর কথায়, ‘‘আসলে আমরা জীবন সহজ করতে এ সব প্রলোভনে পা দিই। তবে আমার মনে হয়, প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে জটিল করে। তাই ডেটিং অ্যাপে থাকার তাগিদ বোধ করিনি কখনও।’’
এই সিরিজ়ে চান্দ্রেয়ীর বিপরীতে দেখা যাবে শিলাজিৎ মজুমদারকে। তাঁর স্বামীর চরিত্রে। প্রথম ছবি ‘মহুলবনীর সেরেঞ’ এর নায়কের সঙ্গে কুড়ি বছর পর ফের কাজ। শুটিংয়ের সময় মাপা, তাও পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সর্বদাই সুখস্মৃতি, জানালেন অভিনেত্রী।
এতগুলো বছরে কি বন্ধু শিলাজিতের কোন বদলে লক্ষ করলেন? ‘‘ আসলে শিলাজিৎ আরোপিত কিছুতে বিশ্বাস করে না, তাই ওকে আমার দারুণ লাগে।’’এত লম্বা একটা কেরিয়ার কখনও কি কারও প্রতি ক্ষোভ,দুঃখ হয়নি! চান্দ্রেয়ী বলেন, ‘‘আমি একেবারে উচ্চাকাঙ্ক্ষী নই, বরং অনেক বেশি ভাগ্যবান। এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে যা পেয়েছি, কৃতজ্ঞ।’’