শুটিংয়ে সেলিনা এবং আজহার।
#মিটু ঝড়ে কয়েক মাস আগেও উত্তাল ছিল সিনে ইন্ডাস্ট্রি। অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত প্রথম ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল নানা পটেকরের দিকে। তার পর ইন্ডাস্ট্রির বহু সদস্য প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। দিন কয়েক আগে অভিনেত্রী টিনা দত্ত অভিযোগ করেছিলেন, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় খারাপ ভাবে তাঁর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছিল। এ বার এই সব অবাঞ্ছিত ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ করলেন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়। মহিলা শিল্পীদের সুরক্ষার কথা ভেবে তিনি এবং প্রযোজক অরিত্র দাস যৌথ ভাবে তাঁদের ছবির শুটিংয়ে ইন্টিমেসি সুপারভাইজার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন।
‘কেকওয়াক’-এর পর রামকমলের পরের ছবি ‘আ ট্রিবিউট টু ঋতুপর্ণ- সিজনস গ্রিটিংস’। এই ছবির হাত ধরেই কামব্যাক করছেন বলি অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। জানা গিয়েছে, এই আইডিয়া নায়িকাই দিয়েছেন পরিচালককে। এ ছবিতে আজহার খানের সঙ্গে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করছেন সেলিনা। সেখানেই কাজ করবেন ইন্টিমেসি সুপারভাইজার।
সেলিনার কথায়, “হলিউডে ইন্টিমেসি সুপারভাইজারের কনসেপ্ট রয়েছে। সে বিষয়ে এক সাংবাদিক আমার মতামত জানতে চান। তখন এই আইডিয়াটা নিয়ে আমি প্রযোজক এবং পরিচালকের সঙ্গে কথা বলি। ওরা রাজি হয়। আমার মনে হয় ধীরে ধীরে বলিউড এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাবে।’’
এ প্রসঙ্গে রামকমল বলেন, ‘‘সেলিনা আমাকে আইডিয়াটা দেয়। তার পর আমরা একজন সিনিয়রকে এই শুটিংয়ে ইন্টিমেসি সুপারভাইজার পদে নিয়োগ করেছি।’’
আরও পড়ুন, ‘আমার দুর্গা’র পর কী করছেন সঙ্ঘমিত্রা?
ইন্টিমেসি সুপারভাইজার কারা? ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় নায়ক বা নায়িকা কোনও অস্বস্তি অনুভব করছেন কিনা, অথবা খারাপ উদ্দেশ্যে কেউ কারও শরীর ছুঁচ্ছেন কিনা, সে দিকে লক্ষ্য রাখাই ইন্টিমেসি সুপারভাইজারদের কাজ।
(সিনেমার প্রথম ঝলক থেকে টাটকা ফিল্ম সমালোচনা - রুপোলি পর্দার বাছাই করা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগ।)