অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত।
নায়িকা যখন নির্বাচনের মনোনয়ন প্রার্থী হয় কেমন লাগে?
আমাদের সকলের জন্যই খুব ভাল খবর। এ বার তো বলতে হবে মিমি চক্রবর্তীকে, ‘দিদি একটু দেখবেন’। তবে একটা কথা বলার আছে আমার। মিমি, নুসরত দু’জনের সঙ্গেই কাজ করেছি আমি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং নুসরতের সঙ্গে ‘ওয়ান’-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা মনে রাখার মতো। ওরা দু’জনেই যে এই সময় রাজনীতিতে এল এটা খুব ভাল। আরও মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতে পারবে ওরা। ভাল কাজের সুযোগ পাবে। আমি প্রচুর মানুষকে বলতে শুনেছি, নতুন প্রজন্ম রাজনীতি নিয়ে সচেতন নয়। তো এখন ওরা যখন এল তখন এত ট্রোলিং হচ্ছে কেন? এটা খুব বাজে বিষয়। বরং ওদের এই সিদ্ধান্তকে আরও সম্মান করা উচিত।
‘মন জানে না’ নিয়ে মানুষের কী প্রতিক্রিয়া?
আজ সকালেও দেখলাম রেজাল্ট বেশ ভাল। সোম-মঙ্গল তো কাজের দিন, তা-ও। মানুষ যশ-মিমি নয়, ছবির ‘আমির’ আর ‘পরি’-কে পছন্দ করেছে। এটাই পাওয়া।
মিমি চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘মন জানে না’ ছবিতে এক নতুন যশকে পাওয়া যাবে...
একটা ট্যাক্সি ড্রাইভারের চরিত্র। এই কাজটা নিয়ে একটা লম্বা সময় ধরে খেটেছি। আমি আমার দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ, তাঁরা নানা ভাবে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আর মিমির সঙ্গে আগে কাজ করার সুবাদে একটা বন্ডিং তো ছিলই। সেই জায়গা থেকে ওর মতো অভিনেত্রী পাশে থাকলে কাজটা করতে সুবিধেও হয়। আমাদের জুটিকে মানুষ ভালবেসে গ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: পাথর বসানো শাড়ি থেকে সালোয়ার, দেখে নিন অম্বানী পুত্রের বিয়েতে সেলেবদের চমকে দেওয়া সাজ
শুনেছি ছবি শেষ হওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে মানুষ হল থেকে বেরোচ্ছে। কোথাও দর্শকের সঙ্গে গল্প রিলেট করানো গেছে। তবে আমার একটা কথা বলার আছে। বলব?
বলুন...
আমাদের মেনস্ট্রিম ছবিকে একটু সাপোর্ট করা দরকার।
মেনস্ট্রিম ছবির সে জায়গাটা এখন আছে কোথায়?
দেখুন ‘মন জানে না’ গল্প-নির্ভর মেনস্ট্রিম ছবি। দর্শক সেটা হলে দেখছে তো। মিডিয়ার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, একটু মেনস্ট্রিম ছবিকে সাপোর্ট করুন। সারাক্ষণ যদি বলা হয়, মেনস্ট্রিম ছবির বাজার নেই, এখন কনটেন্ট নির্ভর ছবির সময়, তা হলে মানুষ এই ধারার ছবি দেখতে আসবে না। এটা তো ইন্ডাষ্ট্রির জন্য খারাপ।
আরও পড়ুন: কুকিজের ওপরও এ বার তৈমুরের ছবি!
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে জিৎ, দেব— সকলেই কিন্তু এখন আর্বান ছবির দিকে ঝুঁকছেন...
সেটা খুব ভাল। কিন্তু যাঁরা মেনস্ট্রিম ছবি থেকে আর্বান ছবি নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা চাইলেই আবার মেনস্ট্রিম ছবিতে ফিরতে পারেন। কিন্তু এক জন আর্বান ছবির অভিনেতা চাইলেই অ্যাকশন নির্ভর, নাচ-গানের ছবিতে কাজ করতে পারেন না। এই বিষয়টাই বাস্তব।
নুসরত এবং মিমি। দু’জনেই সাংসদ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লোকসভা নির্বাচনে।
আপনার ধারণা পরিষ্কার। কত দিন হল ইন্ডাস্ট্রিতে?
আমি নতুন। বছর তিনেক হবে।
মহিলা ফ্যানদের কী ভাবে সামলান?
দেখুন মহিলা ফ্যান না থাকলে হিরো হয়ে কী লাভ? ওটা জীবনের অঙ্গ।
আর আপনার অফস্ক্রিন লাভ স্টোরি?
আমার ফ্যামিলি আছে। জীবনে খুব সিলেক্টিভ লোকেরা আছে।
ইন্ডাস্ট্রিতে নায়করা নাকি ইদানীং হিংসে করছে আপনাকে?
তাই? কেন বলুন তো?
ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই নাকি ভাবছেন কোনও কোনও তারকাকে টাফ কম্পিটিশন দেবেন আপনি?
আমি জানি না কেউ হিংসে করছে কি না। তবে আমি কারও জায়গা নিতে আসিনি। আমি নিজের জায়গা করতে এসেছি।
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)