Entertainment News

‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে রিজেক্ট করার সুযোগ অনেক বেশি’

শ্যামার সংসারে অশান্তি তৈরি করতে ওস্তাদ মেজবৌদি ওরফে দিশা। অর্থাত্ রিমঝিম মিত্র। না! রিয়েল নয়। এ গল্প রিমঝিমের রিল লাইফের। সৌজন্যে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। শুটিং ব্রেকে সোফায় বসলেন গুছিয়ে। রেকর্ডার অন…শ্যামার সংসারে অশান্তি তৈরি করতে ওস্তাদ মেজবৌদি ওরফে দিশা। অর্থাত্ রিমঝিম মিত্র। না! রিয়েল নয়। এ গল্প রিমঝিমের রিল লাইফের। সৌজন্যে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। শুটিং ব্রেকে সোফায় বসলেন গুছিয়ে। রেকর্ডার অন…

Advertisement

স্বরলিপি ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৩৩
Share:

রিমঝিম মিত্র।

‘কৃষ্ণকলি’তে হার্ড নেগেটিভ ক্যারেক্টার আপনার। ফিডব্যাক কেমন?

Advertisement

আমার বলাটা মজার শোনাবে। ভাল ফিডব্যাক। আমাকে দেখে এই যে লোকের রাগটা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ক্যারেক্টারটা জাস্টিফাই হচ্ছে। সুশান্ত (পরিচালক) গল্প যে ভাবে বাঁধছে, ডায়লগ যে ভাবে আসছে তার জন্য ওকে ধন্যবাদ। এই টুলসগুলো হাতে পাচ্ছি বলেই আমরা ডেলিভার করতে পারছি। রাস্তায় বেরলে সবার বাড়িতে ‘কৃষ্ণকলি’ চলছে সেই অডিওটা পাওয়া যায় সেটা ভাল লাগছে।

এত দিনের কেরিয়ার আপনার। কিন্তু এত কম কাজ করেন কেন? অফার পান না?

Advertisement

কম কাজ করি ঠিকই। তবে খুব যে অফার আসে, ফিরিয়ে দিচ্ছি তেমনও নয়। আবার অফার আসছেও।

তা হলে কাজ না করার কারণটা কী?

আমি নিজে সেই অর্থে খুব একটা অ্যাম্বিশাস নই। অ্যাজ আ পার্সনও খুব একটা ইনিশিয়েটিভ নিয়ে কাজ করব, ওই রকম নই। এমনিতেও একটু লেড ব্যাক আছি। আমার যদি একটা টাইমে একটা সিরিয়াল চলে সেটা নিয়েই আমি মেন্টালি খুব সেটলড হয়ে যাই। সেটার মতো করেই নিজের রুটিনটা ঠিক করে নিই। বেশি কাজ করতে কখনওই আমার ভাল লাগে না। এটা হয়তো খারাপ জিনিস। কিন্তু এটাই আমি।

আরও পড়ুন, পরকীয়া মানেই গুজগুজ নয়, সম্মানেরও হতে পারে, বললেন কৌশিক

কিন্তু একসঙ্গে একাধিক সিরিয়ালে তো অনেকেই অভিনয় করছেন।

করেন তো। রীতাদি, মানে রীতা কয়রাল এই ব্যালেন্সটা খুব ভাল করতে পারতেন। আমি ভাবতাম, সত্যিই তো একটা মানুষের তো এরকমই ব্যালেন্স করে কাজ করা উচিত। কিন্তু আমি সেটা পারি না। তবে কিছুদিন আগেও তিনটে সিরিয়ালের কাজ একসঙ্গে করছিলাম। সেটা তিনটে প্রোডাকশন হাউজ আমাকে হেল্প করেছিল বলেই করতে পেরেছি। তিনজন প্রোগ্রামার নিজেদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে কোঅপারেট করেছে। ডেট, টাইম ওরা ম্যানেজ করে দিয়েছিল। তার মধ্যে এখন একটা সিরিয়াল করছি না। আর ‘লোকনাথ’-এর বেসিক জার্নিটা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই। ফলে ওখানেও আমাকে এখন কম লাগছে। তাই পুরো সময়টা ‘কৃষ্ণকলি’র জন্যই।

‘কৃষ্ণকলি’তে এই চরিত্রটার জন্য আপনি নাকি ফার্স্ট চয়েস ছিলেন না?

ব্যাপারটা একটু আলাদা। বলব?


‘কৃষ্ণকলি’র সেটে রিমঝিম।

প্লিজ…

‘কৃষ্ণকলি’র আইডিয়া যখন সুশান্ত কনসিভ করেছিল তখন ও মনে মনে চেয়েছিল আমিই এই চরিত্রটা করি। কিন্তু তখন কিছু একটা কারণে করতে পারছিলাম না। অন্য অনেকের লুক টেস্ট হয়েছিল। আমি সুশান্তকে পাগল করে দিয়েছিলাম। গল্পটা শোনার পর বলেছিলাম আমাকে করতে দাও। তখন অন্য একটা সমস্যার জন্য চ্যানেল ভাবছিল, আমি না করলেই ভাল হয়। তার পর ঘুরেফিরে সুশান্ত ফোন করে বলল, তুমিই করছ। আমি রিয়েলি হ্যাপি।

কোন সমস্যার জন্য চ্যানেলের আপত্তি ছিল?

আসলে ‘লোকনাথ’-এ পজিটিভ ক্যারেক্টার। আর এটা নেগেটিভ। ফলে একটা কনফ্লিক্ট ছিল দুটোর মধ্যে। যদিও অ্যাজ অ্যান আর্টিস্ট আমি এটা বিশ্বাস করি না, যে এতে কোনও প্রবলেম হতে পারে। আর দর্শকের কাছ থেকে দুটো চরিত্রের ফিডব্যাকই পাই। ফলে আমার মনে হয় এটা ভুল ধারণা।

আরও পড়ুন, #মিটু? ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও কিছু ইচ্ছের বাইরে হয় না, বললেন শর্বরী

সিরিয়ালের কনটেন্ট নিয়ে বহু দর্শকের আপত্তি আছে। জানেন নিশ্চয়ই?

এটা খুব ক্লিশে টপিক এখন। আমি শিল্পী হিসেবে এই আলোচনা করতেই বোর হয়ে যাই। কেউ যদি সিরিয়াল না দেখে তা হলে টেলিভিশন চলছে কী করে বলুন? আর যারা দূর দূর করছেন তারাই তো ডিটেলে বলছেন কী দেখানো হচ্ছে! এখন দর্শকের তো অপশন আছে। আপনারা অন্য কিছু দেখুন। সিরিয়ালে তো ভালও অনেক কিছু দেখায়। কিন্তু সিরিয়াল দেখে যদি কেউ মনে করে তিনটে বিয়ে লিগ্যাল, আমিও করব। তা হলে কিছু বলার নেই। গায়ের রঙ নিয়ে এখনও লোকে কথা বলে। কৃষ্ণকলির সাবজেক্টটা নিয়ে কজন ভাবে বলুন তো? আমি ফেয়ারনেস ক্রিমের একেবারে অ্যান্টি। আমি অনেক ঘটনা জানি, এখন এই গায়ের রঙ নিয়ে শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেরাও ভোগে। ছেলেদের মধ্যেও এই কমপ্লেক্সটা কাজ করে। কিন্তু তারা বলতে পারে না।


আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে প্রলোভনে পা দেওয়ার হাতছানিটা একটু বেশি, বলছেন অভিনেত্রী।

#মিটু তো রিসেন্ট টপিক। আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে?

দেখুন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে প্রলোভনে পা দেওয়ার হাতছানিটা একটু বেশি, হয়তো গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে বলে। অনেক নতুন ছেলে মেয়ে আছে একটা সিরিয়ালের খ্যাতি পেয়ে গিয়ে শো করছে, আরও অনেক কিছু করছে। কিন্তু অভিনয়টা তো আগে। এটা নিয়ে পড়াশোনা না থাকলে তো মুশকিল। সেগুলো অনেকের মধ্যে মাঝে মাঝে মিসিং দেখি। শুধু নতুন নয়। আমার সিনিয়ার বা সমসাময়িক অনেকের মধ্যেও দেখেছি।

আরও পড়ুন, একটা ফাঁকা ছেলে খুঁজে দিন, আই উইল লভ টু ডেট, বলছেন স্বস্তিকা

#মিটু-র অভিজ্ঞতা? আপনি ফেস করেছেন?

না। কখনও নয়। আমার প্রথম কাজ ছিল রবি ওঝার সঙ্গে ‘এক আকাশের নীচে’। কমলিকা, মানে অভিনেত্রী কমলিকা আমার বন্ধু। ওর জামাইবাবু ছিলেন রবি স্যার। ও আলাপ করিয়ে দিয়েছিল। সেই সূত্রে কাস্ট করেছিলেন। তার পর দেবাংশুদা, কৌশিকদা, রাণাদা, সুদেষ্ণাদির সঙ্গে কাজ করেছি। দে আর লাইক ফ্যামিলি টু মি। আমাকে এটা কখনও ফেস করতে হয়নি। তবে অনেককে করতে হয়েছে। আজ যে ফেস করছে সে হয়তো বলতে পারছে না। সেই সাহস, মনের জোরটা সবার থাকে না। তবে এখন এই রেভলিউশনে অনেকে বলছেন সেটা ভাল। আর একটা জিনিস বলতে চাই, আমরা তো ফ্রিল্যান্সার। আমাদের তাও চয়েস আছে। একটার বদলে আর একটা জায়গায় কাজ খুঁজতে পারব। কিন্তু অন্য অনেক পেশায় সে সুযোগটাও থাকে না। আমার তো মনে হয় এখানে রিজেক্ট করার সুযোগ অনেক বেশি।

(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement