সুমন দে।
কখনও তাঁর ওপর রাগ হয় আপনার। কখনও বা ভালবেসে ফেলেন। রাগ বা ভালবাসা সবটাই অভিনয়ের জন্য। তিনি সুমন দে। সৌজন্যে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নকশি কাঁথা’।
বেঙ্গালুরুর ক্রাইস্ট কলেজ থেকে বিকম অনার্স করেছেন সুমন। ফিনান্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পাশাপাশি মডেলিংও। অভিনয় নয়, মডেলিংই তাঁর নেশা ছিল। সে সময় তাঁর কোঅর্ডিনেটর প্রচুর অডিশনের জন্য পাঠাতে থাকেন। জোর করেই। মুম্বইতে প্রায় পাঁচ হাজার অডিশন দিয়েছিলেন সুমন। ফলে অকপটে বলে ফেলেন, ‘‘বিভিন্ন চরিত্রের অডিশন দিতে দিতেই হয়তো অভিনয় শিখেছি।’’
‘নকশি কাঁথা’র রেসপন্স কেমন? শুটিং শেষের মেকআপ রুমে চেয়ারে আরাম করে বসে সুমন বললেন, ‘‘এক্সপেক্টেশনের বেশি পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি। ‘বধূবরণ’-এ শুনেছিলাম ভাল অভিনয় করি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুনেছি, খুব ভাল দেখতে লাগছে তোমাকে। খুব ভাল অভিনয় ‘নকশি কাঁথা’য় শুনছি।’’
আরও পড়ুন: ডান্সার, গায়িকা, মার্শাল আর্টে দক্ষ এই বলি নায়িকার নাকি ‘ইভিল ভাইবস’ রয়েছে!
ধারাবাহিক ‘নকশি কাঁথা’র একটি দৃশ্যে।
আদতে সুমনের বাড়ি শিলিগুড়িতে। ২০১১-এ কলকাতা এসেছিলেন। মুম্বইতে চাকরিও করতেন তখন। মুম্বই-কলকাতা যাতায়াত ছিল। ওঁর প্রথম কাজ টেলিভিশনে। ‘আমি সেই মেয়ে’। সেটার পর মুম্বইতে চলে গিয়েছিলেন। ২০১৩-এ পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় আসেন।
আরও পড়ুন: নিজেই নিজের চুল কেটে ফেললেন কিয়ারা আডবাণী! ভাইরাল ভিডিয়ো
গত কয়েক বছরের কেরিয়ারে ইন্ডাস্ট্রির কী কী খারাপ চোখে পড়ল? মুচকি হেসে সুমনের জবাব, ‘‘খারাপ তো দেখেছি অনেক কিছু। কিন্তু বলা যাবে না। কথায় আছে তো, ছায়া সব সময় সঙ্গে থাকে। কিন্তু অন্ধকার যখন আসে সেই ছায়াও সরে যায়। এর থেকে বড় সত্যি আর নেই। যতই বন্ধু হোক, খারাপ সময়ে ছেড়ে যাবেই।’’
ইন্ডাস্ট্রিতে তা হলে বন্ধু হয় না? না! নেগেটিভ জবাব নয়। বরং সুমনের উত্তর, ‘‘তা নয়। গৌরব চট্টোপাধ্যায় আমার খুব ভাল বন্ধু। ‘বধূবরণ’ থেকে ওর সঙ্গে আলাপ। ওর পরিবারও আমাকে খুবই ভালবাসে। কিন্তু এমন মানুষ দেখেছি, যাদের বন্ধু ভেবেছিলাম, কিন্তু খারাপ সময়ে আমার প্রতি ব্যবহার পাল্টে গিয়েছিল। বাড়ির লোন শোধ করার জন্য নতুন গাড়ি বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। কারও কাছে কোনওদিনও সাহায্য চাইনি। সে সময় মানুষ চিনতে পেরেছিলাম।’’
শুধুই টেলিভিশন নয়। ফিল্মেও কাজ করছেন সুমন। তিনি জানালেন, ‘শুধু যাওয়া আসা’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। যেখানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রত্না ঘোষাল, কাঞ্চন মল্লিক, বিশ্বনাথ বসু, ভরত কলের মতো শিল্পীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। এখনও মুক্তি পায়নি সে ছবি।
আরও পড়ুন: ‘হেমলক সোসাইটি’র ও রকম হিট গানের পরেও অনুপম আর ডাকল না: লোপামুদ্রা
এত ব্যস্ততার মধ্যে বান্ধবীকে সময় দেন কী করে? ‘‘আমি তো হ্যাপিলি সিঙ্গল। প্রচুর প্রেম ছিল জীবনে। প্রেম না থাকলে অভিনেতা হওয়া যায় নাকি? কিন্তু প্রেমটা যখন থাকে ভাল, প্রথম প্রথম খুব ভাল লাগে। ঝগড়া, মনোমালিন্যও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু শেষটা ভয়ঙ্কর হয়। খুব কম লোক আছে যারা প্রপারলি ব্রেকআপ করতে পারে’’ শেয়ার করলেন সুমন।