শ্রীলেখা মিত্র। ছবি: শ্রীলেখার ইনস্টাগ্রাম পেজের সৌজন্যে।
জন্মদিন। বয়স বাড়ছে বটে। কিন্তু সে তো নিতান্ত এক সংখ্যা মাত্র। অন্তত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের কাছে বয়স নিতান্তই এক সংখ্যা। দু’দিন পরেই তাঁর জন্মদিন। তার আগে জীবনের প্রথম পাঁচ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে।
প্রথম মিথ্যে
অত মনে নেই। আমি অক্সিলিয়াম কনভেন্টে পড়তাম। একদম ছোটবেলায় স্কুলে ওরকম হত না, তোদের বাড়িতে ১০টা টিভি, আমাদের বাড়িতে ৫০টা টিভি। ওই বোকা বোকা মিথ্যে বলেছি। তার পর স্কুলে দেরি করে পৌঁছেছি, সুতরাং জানি পানিশমেন্ট হবে। সেখানে কোনও সিমপ্যাথি গ্রাউন্ডে যদি পানিশমেন্ট কাটানো যায় তার জন্য কোনও একটা অজুহাত। কিন্তু বড় হয়ে খুব একটা আর মিথ্যে বলতে পারিনি। আমার মিথ্যেগুলো খুব হার্মলেস মিথ্যে। কারও ক্ষতি করা মিথ্যে কোনওদিন বলিনি।
প্রথম চুমু
কলেজে। জয়পুরিয়া কলেজ। ক্লাস টুয়েলভে পড়তাম। প্রথম প্রেম তখন। তার সঙ্গে ক্যাডবেরি শেয়ার করতে করতে চুমু খাওয়া। একটা গোটা ক্যাডবেরি শেয়ার করতে করতে একটা কিউব শেষ হতে হতে চুমু...। সেটা মারাত্মক চুমু ছিল। কী করে খেতে হয় জানতাম না। সেটার রেশ বোধহয় পরের এক বছর ছিল।
আরও পড়ুন, ফ্ল্যাট নম্বর..., কী করছেন আবির আর তনুশ্রী?
প্রথম পুরস্কার
ঠিক মনে নেই। তবে স্কুলে কোনও পারফরম্যান্স করে বোধহয় পুরস্কার পেয়েছিলাম। সেভাবে বড় কোনও পুরস্কার তো পাইনি। কিন্তু অভিনয় করার পরে রাস্তায় মানুষ আমাকে চিনতে পারছে, সেটাই আমার কাছে প্রথম পুরস্কার ছিল বলতে পারেন।
‘মিথ্যেটা খুব খারাপ লাগে আমার’ বললেন অভিনেত্রী।
প্রথম রোজগার
ক্লাস টুয়েলভের পর টিউশন দিয়ে আমার প্রথম রোজগার। কত টাকা পেতাম আর? ৫০০ হবে ম্যাক্সিমাম। আর প্রথম শুটিংয়ের রোজগার ছিল তিন দিন কাজ করে ৯০০ টাকা। বুঝেই উঠতে পারছিলাম না, এত টাকা নিয়ে কী করব...।
আরও পড়ুন, ‘ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন’, শুটিংয়ে ফিরে ছবি দিলেন দিতিপ্রিয়া
প্রথম অপমান
প্রথম অপমান আমার বাবাই করেছিল। তখন আমার আইসিএসসি। তার আগে ডন বক্সো ফেস্টে নাচব। একমাত্র ক্লাস টেন থেকে আমাকেই নিয়েছিল। কারণ জানত, পড়াশোনায় ভাল ছিলাম। ম্যানেজ করে নিতে পারব। তখন আর এক মাস বাকি ছিল বোধহয় পরীক্ষার। আর আমার বাবা জানতে পেরে সিস্টারকে বলেছিল, আমার মেয়ে নাচবে না। সে জন্য আমি মারও খেয়েছিলাম। সেটা আমার কাছে ভীষণ অপমানজনক ছিল। তার পর শুটিংয়েও একবার হয়েছিল। ওই ঘটনাটার পরেই মাথা গরম তকমাটা আমার নামের সঙ্গে লেগে যায়। ডিরেক্টর বা প্রোডিউসার আমার নামে মিথ্যে কথা বলেছিল সে সময়। আমি রাগে সেটের চেয়ার ভেঙে দিয়েছিলাম। ঘটনাটা আমার কেরিয়ারের একদম শুরুর দিকে। শান্ত ভাল মেয়ে, সবার কথা শোনে, সে সব আমি ছিলাম না মোটেই। মিথ্যেটা খুব খারাপ লাগে আমার। নিজের পিঠ বাঁচাতে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রাখার কোনও মানে নেই।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)