ক্য়ানসারজয়ী নাফিসা আলি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
বলিউডের কাছে কাজ চাইছেন নাফিসা আলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন নিজের জীবনপঞ্জি। উপযুক্ত ভূমিকায় অভিনয় করতে চান প্রবীণ অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রামে আবেদন করেছেন তিনি। পোস্ট করা মাত্রই ট্রেন্ডিং হতে সময় নেয়নি ক্যানসারজয়ীর বার্তা। যেখানে তিনি সম্ভ্রমপূর্ণ কোনও ভূমিকায় অভিনয়ের আর্জি ছাড়াও সহমর্মিতা জানিয়েছেন জায়রা ওয়াসিমের প্রতি। প্রাক্তন ভারতসুন্দরীর দু’টি বার্তাই এখন আলোড়িত সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সঙ্গে চর্চিত তাঁর দেওয়া ছবিও। পোস্টের সঙ্গে নিজের একটি সাদাকালো ছবি পোস্ট করেছেন তিনি । কেমোথেরাপিতে কেশবিহীন নাফিসা সেখানে আগের মতোই দৃপ্ত ও ব্যক্তিত্বময়ী।
আরও পড়ুন: ভাঙন, নাকি বহাল তবিয়তেই, কেমন আছে সুস্মিতার প্রেম?
‘অকৃতজ্ঞ’ টুইট-বার্তা কেন মুছে ফেললেন রবিনা
প্রখ্যাত সাহিত্যিক ওয়াজিদ আলির নাতনি নাফিসাকে শেষ অনস্ক্রিন দেখা গিয়েছে গত বছর, ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার থ্রি’ ছবিতে। জুনুন, আতঙ্ক, মেজরসাব, গুজারিশ ছবিতেও তাঁর কাজ উল্লেখোগ্য। অভিনেত্রী লিখছেন, ‘আমি নাফিসা আলি সোধি। ভারতীয় ছবিতে কোনও সম্ভ্রান্ত ভূমিকায় অভিনয় করতে চাই। তাই উপযুক্ত চিত্রনাট্যের সন্ধানে আছি। প্রবীণ অভিনেত্রী হিসেবে সেখানেই নিজের আবেগ প্রকাশ করতে ইচ্ছুক। ঠিক এই ভাবে বছর দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কাজ চেয়েছিলেন নীনা গুপ্তা। তবে নাফিসার পোস্টে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে জায়রার প্রতি সহমর্মিতা। সেখানে তিনি বলেছেন জায়রার ভিতরে তিনি কুড়ি বছর বয়সী নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন। জায়রার সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন নাফিসা। প্রাক্তন জাতীয় সাঁতারু মনে করেন, এটা যে কোনও কারও ব্যক্তিগত ও স্বাধীন অধিকার। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের উপর এমনিতেই অনেক চাপ থাকে। কিন্তু যদি কাউকে সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, তবে ভেবেচিন্তে সঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া উচিত। জায়রার কথা বলতে গিয়ে ফিরে দেখেছেন নাফিসা নিজেও। এখন মনে হয়, কেন তিনি তাঁর বাবার কথা শুনে ছেড়ে দিয়েছিলেন অভিনয়? কেন সে সময় নিজের মনের কথা শোনেননি ?
নাফিসার এই ছবিটিই চর্চার কেন্দ্রে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
তবে অভিনয় ছাড়াও নাফিসার পরিচয় আরও বিস্তৃত। তিনি রাজনীতিক ও সমাজকর্মী। লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির হয়ে। ২০০৪ লোকসভা নির্বাচনে তিনি কলকাতা দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। ২০০৯ সালে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন লখনউ থেকে। পরে আবার ফিরে আসেন কংগ্রেসে। ওয়জিদ আলির পুত্র আহমেদ আলি ও বিদেশিনী ফিলোমেলা টোরেসানের কন্যা নাফিসা ১৯৭২-৭৪ সাঁতারে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। কলকাতায় বড় হওয়া, লা মার্টিনিয়র স্কুলের প্রাক্তনী নাফিসা ক্যালকাটা জিমখানার জকিও ছিলেন। আজীবন অ্যাডভেঞ্চারিস্ট নাফিসা জীবনসমুদ্রের দ্বিতীয় ইনিংসও পাড়ি দিতে চান নিজের মতো ছকভাঙা সাঁতারেই।