দিন কয়েক আগে ভ্যানিটি ফেয়ার-এ ক্যাটলিন জেনারের ছবি দেখে চমকে উঠেছিল দুনিয়া। ৬৫ বছরের ক্যাটলিনকে এত দিন সকলের কাছে ব্রুস জেনার নামেই পরিচিত ছিলেন। অলিম্পিকসেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। রূপান্তরকামী ব্রুস লিঙ্গ পরিবর্তন করে সুন্দরী মহিলা হয়ে উঠেছেন। তার নেপথ্যে রয়েছে দীর্ঘ লড়াই। কিন্তু রূপান্তরের পর কতটা বদলেছে ক্যাটলিনের দৈনন্দিন জীবন? প্রিয়জনদের পাশাপাশি বাকি দুনিয়ার সমর্থন না কি সমালোচনা—কোনটা তাঁর রোজনামচা?
ব্রুস ছিলেন কিম কার্দাশিয়ানের সৎ-বাবা। তাঁকেই এখন সৎ-মায়ের পরিচয় দিচ্ছেন কিম। ক্যাটলিনকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত কিম জানিয়েছেন, শ্যুটিংয়ে সুন্দরী ক্যাটলিনকে আমি প্রথম দেখলাম। ও ওর নিজস্বতা বজায় রেখেছে দেখে আমার গর্ব হচ্ছে। যে রূপান্তরকামীরা পরিবারের সমর্থন পান না তাঁদের দুঃখ আমি বুঝি। এ জন্যই অনেকে আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে ওঠেন।” ব্রুসের এই সিদ্ধান্তে প্রথমে মোটেই খুশি হননি তাঁর নিজের মেয়ে কাইলি জেনার। যদিও বাবার এ হেন পরিবর্তনে এখন খুশি সে-ও।
ব্রুস তথা ক্যাটলিনের ৮৮ বছরের মা এস্থারও তাঁর ছেলের রূপান্তরিত পরিচিতি নিয়ে খুশি। “আমি ওর সঙ্গে দেখা করেছি। ও এখন এত আরামে আছে, দেখে ভাল লাগছে। তবে ওকে এখনও ব্রুস বলেই ডাকি। আমি আর ওর বাবা পছন্দ করে এই নাম দিয়েছিলাম। এটা বদলাতে সময় লাগবে” জানিয়েছেন তিনি।
ভ্যানিটি ফেয়ার-এ ক্যাটলিনের ছবি দেখে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “আপনার এই পরিবর্তন অনেককে সাহস জোগায়। এলজিবিটি আন্দোলনের ক্ষেত্রেও এটা বড় প্রভাব ফেলবে।” র্যাপ গায়ক স্নুপ ডগের কাছে ক্যাটলিন ‘সাইন্স প্রজেক্ট’-অর্থাত্ বিজ্ঞানের ফসল।
সমালোচনা বা অভিনন্দন যাই আসুক ব্রুস তথা ক্যাটলিন নিঃসন্দেহে এক নতুন রোদ্দুরের বার্তাবাহক।