সেই বালক নিরাপত্তার বেষ্টনী টপকে এক ছুটে চলে গিয়েছিল ‘ভাইজান’-এর সামনে। ছবি—ইনস্টাগ্রাম
নিরাপত্তার বেষ্টনী পেরিয়ে সলমন খানের আলিঙ্গনে এক খুদে। বহু দিন পর কোনও অনুরাগীর সঙ্গে ‘ভাইজান’-এর এমন মুহূর্ত ধরা দিল ক্যামেরায়। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিয়োটি। ধন্য ধন্য করছেন ভক্তরাও।
ইদানীং সলমন কারও সঙ্গে হাত মেলান না। সাধারণের ভিড়ে অভিনেতাকে কড়া পাহারায় আগলে রাখেন তাঁর দেহরক্ষী শেরা ও অন্য নিরাপত্তারক্ষীর বলয়। সলমন গম্ভীর হয়ে হাঁটেন বিমানবন্দরেও। তবে শিশুদের প্রতি সলমনের গভীর ভালবাসাও কারও অজানা নয়। সম্প্রতি মুম্বই ছেড়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরেই এক বালকের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা গেল অভিনেতাকে। সেই বালক নিরাপত্তার বেষ্টনী টপকে এক ছুটে চলে গিয়েছিল ‘ভাইজান’-এর সামনে। সলমন একটুও রেগে গেলেন না। উষ্ণ আলিঙ্গনে আগলে নিলেন সেই বালককে। বালকের মুখেও ঝলমলে হাসি মন জয় করে নিল উপস্থিত সকলের। নিরাপত্তারক্ষী শেরাও সলমনের পিছনে দাঁড়িয়ে সেই বালকের দিকে তাকিয়ে রইলেন, ধমকালেন না এক বারও। সলমনের সঙ্গে সেই বালকের বাচিক আদানপ্রদান শেষ হতে শেরা আবার নিরাপত্তার বলয়ে এগিয়ে নিয়ে চললেন অভিনেতাকে।
সেই ভিডিয়ো দেখে প্রশংসায় ভরিয়েছেন নেটাগরিকরা। মন্তব্য এল, “সলমন এক জন অসাধারণ মানুষ, বাইরে থেকে বোঝা যায় না।”
ঘন ঘন খুনের হুমকি পাওয়ায় ইদানীং নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন সলমন। নিরাপত্তা জোরদার হয়েছে আরও। তবে কিছু যে ব্যতিক্রমও ঘটে, তা প্রমাণ করে দিল বালকের সঙ্গে সেই হৃদয়স্পর্শী দৃশ্য।
‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ মুক্তির পর নায়ক পা রেখেছিলেন কলকাতায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন কালীঘাটের বাড়িতে। সলমন সে দিনও ছিলেন হাসিখুশি, নির্ভীক। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে উপচে পড়ছিল অনুরাগীর ভিড়। এ শহর নিরাপদ, ১৩ বছর পর ফিরেও মনে করেছিলেন সলমন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনুষ্ঠানের মঞ্চে বাংলার দর্শক ফিরে পেয়েছিলেন চেনা পরিচিত সলমনকেই। আগামী দিনে ‘টাইগার ৩’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।