আরিয়ানের কাছে মাদক পাওয়া যায়নি। এমনকি তিনি মাদক সরবরাহ করতেন বলেও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি তাঁর আইনজীবীদের।
মুম্বইয়ের প্রমোদতরী থেকে মাদক মামলায় গ্রেফতার শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান কি এ বার জামিন পাবেন? আরিয়ানকে গ্রেফতারকারী কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি-র কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর আপাতত সেই আশাতেই বুক বাঁধছে মন্নত।
মঙ্গলবার ফের আরিয়ানের জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে বম্বে হাই কোর্টে। এই নিয়ে এটি তৃতীয় বার জামিনের আবেদন আরিয়ানের। আগের দু’বার শাহরুখ-পুত্রের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, জামিনে ছাড়া পেলে আরিয়ান তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। যে হেতু তিনি এক জন তারকা পুত্র, তাই এ বিষয়ে নিজের প্রভাব প্রতিপত্তিও প্রমাণ লোপাটে কাজে লাগাতে পারেন। এমনটাই তদন্তকারী সংস্থা এনসিবি দাবি করেছিল। তবে এখন যখন ঘটনার তদন্তকারী খোদ এনসিবির কর্তার বিরুদ্ধেই তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তখন ২৩ বছরের আরিয়ানের মুক্তি নিয়ে আশার আলো দেখছেন অনেকেই।
মঙ্গলবারই এনসিবি কর্তা সমীরের বিরুদ্ধে আট কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। মাদক মামলার এক সাক্ষী প্রভাকর সইল একটি হলফনামায় জানিয়েছিলেন, শাহরুখ-পুত্রকে গ্রেফতার করার পর তাঁকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সমীর। প্রভাকরের দাবি, এক সাক্ষীর মাধ্যমে এই মামলায় ২৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা সমীর নিজে নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। প্রভাকর এ বিষয়ে জানতে পারেন কিরণ গোসাভি নামে এক বেসরকারি গোয়েন্দার কথোপকথন থেকে। এই কিরণেরই একটি ছবি গত ৩ অক্টোবর আরিয়ানের গ্রেফতারির পর প্রকাশ্যে এসেছিল। কিরণ ওই ছবিতে শাহরুখ-পুত্রের সঙ্গে নিজস্বী তুলেছিলেন। প্রভাকর কিরণেরই ব্যক্তিগত দেহরক্ষী।
যদিও এনসিবি কর্তারা সমীরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সমীরের ঝকঝকে দুর্নীতিহীন কেরিয়ারের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, সইল কোনও অজানা কারণে মিথ্যে বয়ান দিচ্ছেন। তবে মুখে সমর্থন করলেও মুখরক্ষার জন্য সমীরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়েছে এনসিবিকে। সেই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (উত্তরাঞ্চল) জ্ঞানেশ্বর সিংহ। এনসিবির অন্দরে এই দুর্নীতির অভিযোগ আরিয়ানের জামিনের আবেদন নিয়ে আশার আলো দেখছে মন্নত।