সুইমিং পুলের নীল জলের মধ্যে নিজেকে ভাসিয়ে দিলেন নায়িকা। বা আল্পসের কোলে বাচ্চাদের গায়ে বরফের গোলা ছুড়ে মারছেন নায়ক। ফিল্মি পর্দায় নয়, এমনটা করেন বলিউডের বহু স্টারই। দেশে তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও বাড়ি রয়েছে তাঁদের। কেমন সে সব ঘরবাড়ি?
মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ‘মন্নত’ ছাড়া কিং খানের বাংলো রয়েছে বিদেশেও। দুবাইয়ের দ্য পাম জুমেইরা দ্বীপে পুল, বিচ-সহ সাড়ে ৮ হাজার ও ১৪ হাজার বর্গফুট জায়গা জু়ড়ে রয়েছে তাঁর বিশাল বাংলো। যার বাজারদর আনুমানিক ১৭ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। দুবাই ছাড়াও লন্ডনের অভিজাত পার্ক লেনে রয়েছে তাঁর বাড়ি। যার দর আনুমানিক ২ কোটি পাউন্ড।
শাহরুখ খানের মতোই বিদেশে বাড়ি রয়েছে অমিতাভ বচ্চনেরও। তবে দুবাই বা লন্ডনের থেকে প্যারিসই বেশি পছন্দ বিগ বি-র। সেখানে আনু়মানিক ৩ কোটি টাকার বিলাসবহুল বাংলোতে মাঝে মাঝেই পা রাখেন তিনি। তা ছাড়াও ইলাহাবাদ ও গুরুগ্রামে আরও দু’টি বাংলো রয়েছে তাঁর। সেই সঙ্গে মুম্বইয়ে পাঁচ-পাঁচটি বংলোর কথাও ভুলে যাবেন না যেন!
দুবাইতে স্যাংচুয়ারি ফলসে অভিষেক ও ঐশ্বর্য বচ্চনের বাংলোটি ঠিক যেন একটা রিসর্ট। সুইমিং পুল, ল্যান্ডস্কেপ গার্ডেন, কী নেই তাতে! প্রায় ১১ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে সেই বাংলো। আর তার বাজারদর ৬৮ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি।
শাহরুখ খান বা অভিষেক-ঐশ্বর্যার মতোই দুবাইয়ে থাকার জায়গা রয়েছে সলমন খানেরও। সল্লু ভাই তো সব সময় বলেন, দুবাই তাঁর খুবই প্রিয় শহর। সেখানে যে তিনি একটা আস্তানা গড়়বেন না, তা কি হয়! দুবাইয়ের ডাউনটাউনে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে সলমনের।
সুইৎজারল্যান্ডে শুধু গানের শুটিং করতেই নয়, মাঝে-মধ্যে ছুটিও কাটাতেও যান সইফ-করিনা। আল্পস পর্বতমালার কোলে রয়েছে তাঁদের বিলাসবহুল কটেজ। যার আনুমানিক দর ৩৩ কোটি টাকা। ইউরোপীয় কটেজের স্টাইলেই তা গড়ে তোলা। আল্পসে বেড়াতে গিয়ে প্রায়ই ওই কটেজের সামনের ছবি পোস্ট করেন সইফ আলি খান।
বলিউডের থেকে আজকাল হলিউডেই বেশি দেখা যায় প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে। তবে আমেরিকায় নয়, দেশি গার্লের ছুটি কাটানোর জায়গা রয়েছে কানাডার মন্ট্রিয়লে। ছোটখাটো অ্যাপার্টমেন্ট নয়, রয়েছে আনুমানিক ৬ কোটি টাকার বিশালাকায় ম্যানসন। আর সেখানকার সুইমিং পুলের যা সাইজ, তাতে একটা ব়ড়সড় পুল পার্টিও করা যায়।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতোই কানাডায় সম্পত্তি রয়েছে অক্ষয় কুমারের। টরন্টোতে একটা গোটা পাহাড়ই কিনে ফেলেছেন অক্ষয়-টুইঙ্কল। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বাংলো আর অ্যাপার্টমেন্টও রয়েছে তাঁদের কেনাকাটার তালিকায়। এ ছাড়া মরিশাসের সমুদ্রতটেও একটা বাংলো রয়েছে অক্ষয় কুমারের।
ফিল্মি পর্দা ছেড়ে ব্যবসায় মন দিয়েছেন বহু দিন। কাজের সূত্রেই তাই শিল্পা শেট্টিকে ঘুরে বেড়াতে হয় নানা শহরে। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় একটা অ্যাপার্টমেন্ট, ইংল্যান্ডের সারেতে সাত বেডরুমের বাড়ি বা লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিট বা মেফেয়ারে রয়েছে তাঁর থাকার জায়গা।
বলিউডে কাজ করলেও হলিউডে মাঝে মাঝেই পাড়ি দেন মল্লিকা শেরাবত। সেখানেই ক’দিন কাটিয়েও আসেন তিনি। আর বোধহয় সে কারণেই লস অ্যাঞ্জেলেসে এক বিলাসবহুল বাড়িই কিনে ফেলেছেন মল্লিকা।
মল্লিকার মতো লস অ্যাঞ্জেলসের বেল এয়ারে একটা বাড়ি কিনেছেন জন আব্রাহামও। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বা জেনিফার অ্যানিস্টনদের পাড়াতেই!