(বাঁ দিকে) আলিয়া কশ্যপ ও ইদা আলি। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ির পরিচারিকা বন্দি করেছিলেন অনুরাগ কশ্যপ ও ইমতিয়াজ় আলির কন্যাকে। দুই পরিচালক সেই সময় একই বহুতলে থাকতেন। তাঁরা একসঙ্গে সস্ত্রীক বেড়াতেও যেতেন। অনুরাগ-কন্যা আলিয়া এবং ইমতিয়াজ-কন্যা ইদা তখন শিশু। বাবা-মা’রা বেড়াতে গেলে তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন অনুরাগের বাড়িতে, আলিয়ার দিদার তত্ত্বাবধানে। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে সেই ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিলেন দুই কন্যা।
আলিয়া বললেন, “মা-বাবা বেরিয়ে যাওয়ার পরে আমার দিদাকে একটা ঘরে বন্ধ করে রেখেছিল তৎকালীন পরিচারিকা। তার পরে আমাদের দু’জনকে চেয়ারে বেঁধে রেখেছিল। সেলোটেপ দিয়ে মুখ আটকে রেখেছিল।” প্রায় ১৫-২০ মিনিট ওই অবস্থায় ছিলেন আলিয়া ও ইদা। স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ঘিরে ধরেছিল তাঁদের। তাঁদের বেঁধে রেখে বাড়ির যাবতীয় অলঙ্কার, অর্থ সরাতে থাকে সেই পরিচারিকা।
“আমরা ভীষণ কান্নাকাটি শুরু করেছিলাম, আতঙ্কে মনে হচ্ছিল, মরেই যাব এ বার”, যোগ করলেন আলিয়া। ঠিক সেই সময় আলিয়ার মা বাড়ি ফিরে আসেন। “আমার মা কোনও প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিলেন। ভাগ্যিস সেটা নিতে ফিরে এসেছিলেন! মা সমস্ত ঘটনা নিজের চোখে দেখে সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে ও বাকি লোকজনদের ফোন করে ডাকেন”, বললেন আলিয়া।
নিঃসন্দেহে এই ঘটনা বিভীষিকার উদ্রেক করেছিল। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য, ওই পরিস্থিতিতে দু’জন একসঙ্গে ছিলেন বলে আতঙ্ক কিছুটা হলেও কম ছিল। একা থাকলে কী করতেন, তা নিজেদের কল্পনার অতীত, মনে করেন আলিয়া-ইদা। তবে ইদার বক্তব্য খানিক আলাদা। সেই ঘটনা নিয়ে বর্তমানে তাঁর মনে আতঙ্কের রেশ নেই এতটুকু। বরং তিনি যখন অতীতের এই ঘটনার দিকে ফিরে তাকান, হাসিতে ফেটে পড়েন। তাঁর কথায়, “এটা কিন্তু বেশ মজার ঘটনা!”