বৈঠকি আড্ডা হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া—বলি তারকাদের ঝাঁ চকচকে বাংলো, ঈর্ষা করার মতো বেতন এবং গ্ল্যামারাস লাইফ স্টাইল নিয়ে গসিপ চলতেই থাকে। জানেন কি, সব বলি তারকাদেরই পেশাগত জীবনের শুরুটা মসৃণ ছিল না? আপনার পছন্দের এই তারকাদের প্রথম বেতন শুনলে চমকে উঠবেন।
অমিতাভ বচ্চন: বি-টাউন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, বলিউড শাহেনশা বিগ-বির চর্চা সর্বত্র। ঈর্ষা করার মতো ফ্যান ফলোয়িং তাঁর। জানেন তো, অভিনয়ে পা রাখার আগে একটি শিপিং কোম্পানিতে একজিকিউটিভ পদে ছিলেন অমিতাভ? এই কাজের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ টাকা বেতন পেতেন তিনি।
শাহরুখ খান: ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়েই বলি বাদশা হয়েছেন শাহরুখ খান। বি-টাউনে পা রাখার আগে নানারকম কাজ করতেন তিনি। বিভিন্ন কনসার্টে সহকারি হিসেবেও কাজ করেছেন শাহরুখ। এই কাজের জন্য ৫০ টাকা হাতে পেতেন তিনি। শোনা গিয়েছে, এই টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কেটে প্রথম আগ্রার তাজমহল দেখতে গিয়েছিলেন বলি বাদশা।
রজনীকান্ত: শুধু ভারতে নয় এশিয়ায় সর্বোচ্চ আয়ের তারকাদের মধ্যে একজন রজনীকান্ত। বক্স-অফিস হিট ‘শিবাজী’ ছবির জন্য ২৬ কোটি টাকা নিয়েছিলেন ‘থ্যালাইভা’। জানেন কি, একজন বাস কন্ডাকটর হিসেবে চলা শুরু হয় রজনীর? ওই কাজের জন্য নামমাত্র বেতন পেতেন তিনি।
ইরফান খান: অভিনয় দক্ষতায় বলিউড থেকে হলিউড, সর্বত্রই ঝড় তুলেছেন ইরফান। বি-টাউনে ইরফান মাল্টি-ট্যালেন্টেড অভিনেতা। কিন্তু বলিউডে পা রাখার আগে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে তাঁকে। ছাত্র পড়িয়েই শুরু হয় পথ চলা। টিউশনে এক এক জন ছাত্রের থেকে মাত্র ২৫ টাকা করে নিতেন ইরফান।
কল্কি কোচলিন: বি-টাউনে আর একজন দক্ষ অভিনেত্রী কল্কি। জানেন কি, লন্ডনে পড়াশোনা করার সময় একটি ক্যাফেতে ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করতেন কল্কি? তাঁর বেতন ছিল ৪০ পাউন্ড (ভারতীয় টাকায় ৩, ৬৮৪ টাকা)।
রোহিত শেট্টি: তাঁর ছবি বক্স-অফিসে ঝড় তোলে। বলিউডে প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে একজন রোহিত। কিন্তু, তাঁর জার্নি শুরু হয় একজন সহকারি ডিরেক্টর হিসেবে। চিত্রনির্মাতা কুকু কোহলির অধীনে মাত্র ৩৫ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন রোহিত শেট্টি।
ধর্মেন্দ্র: বলিউডে একসময় হার্টথ্রব ধর্মেন্দ্রর অভিনয় জীবন শুরু হয় খুব কম বেতন দিয়ে। লাইমলাইটে আসার আগে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ৫১ টাকা হাতে পান তিনি। সেই শুরু। বাকিটা ইতিহাস।
রণদীপ হুডা: বি-টাউনে নজির গড়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার একটি চিনে রেস্তোরাঁয় একজন ওয়েটার হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন রণদীপ। ওয়েটারের চাকরির জন্য প্রতি ঘণ্টায় ৮ ডলার (ভারতীয় টাকায় ৫১৭ টাকা) পেতেন তিনি।
সোনম কপূর: সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মালেও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা ছিল সোনমের। তিনি জানিয়েছেন, এক সময় অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। বেতন পেতেন তিন হাজার টাকা। খরচ বাঁচানোর জন্য যাতায়াত করতেন লোকাল ট্রেনে।