প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে।আর প্রেমে পড়ার নির্দিষ্ট বয়সও নেই। তবে কৈশোরের প্রেমে নাকি আবেগ থাকে সবচেয়ে বেশি। আর এই প্রেমকেই গুরুত্ব দিয়ে ঘর বেঁধেছেন অনেকে। বলিউডেও রয়েছে তেমন কিছু প্রেমের গল্প। নাম-যশ হলেও ছোটবেলার ভালবাসার মানুষটিকে নিয়েই সংসার পেতেছেন এই তারকারা।
ইমরান খান: মাত্র ১৮ বছর বয়সে স্ত্রী অবন্তিকা মালিকের সঙ্গে পরিচয় হয় ইমরানের। নিজের বার্থ ডে পার্টিতেই অবন্তিকাকে প্রোপোজ করেছিলেন ইমরান।বলিউডে কঠোর পরিশ্রমের সময় পাশে ছিলেন অবন্তিকাই। ২০১১ সালে ১০ জানুয়ারি পরিণয়সূত্রে বাঁধা পড়ে এই জুটি।
আয়ুষ্মান খুরানা: স্ত্রী তাহিরাই ছিলেন তাঁর ফার্স্ট ক্রাশ। তাহিরারও তাই। তবে প্রোপোজটা করেছিলেন আয়ুষ্মানই। আর ফ্যামিলি ফ্রেন্ড বলে কথা। দশ বছরের প্রেমের পর তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এই জুটি।
জ্যাকি শ্রফ: স্ত্রী আয়েষার সঙ্গে আলাপ একেবারে কৈশোরে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রথমে ভাললাগাই ছিল। তারপর বন্ধুত্ব, আর সেখান থেকেই প্রেম। স্ত্রী আয়েষাকে রেকর্ড শুনতে দিয়েছিলেন। সেটা শুনেই তৈরি হয় ভাল লাগা।
শাহরুখ খান: কিং অফ রোম্যান্সও বলা যায় তাঁকে। স্কুল লাইফেই স্ত্রী গৌরীর সঙ্গে পরিচয় শাহরুখের। দীর্ঘসময় প্রেমের পর ১৯৯১ সালের অক্টোবর মাসে বেশ ছোটবেলাতেই ঘর বাঁধেন তাঁরা। গৌরীই তাঁর কাজের সবচেয়ে বড় প্রেরণা, একথা জোর দিয়ে বলেন বলিউডের বাদশা।
সুনীল শেট্টি: স্ত্রী মানার সঙ্গে আলাপ একটা বেকারি শপে। তাও নাকি পেস্ট্রি খাওয়ার সময়! মানাকে এতটাই ভাল লেগেছিল, তাঁর বোনের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলেন সুনীল। নয় বছর প্রেমের পর ঘর বাঁধেন তাঁরা।
ফারদিন খান: নাতাশা মাধবানি ও ফারদিন পরস্পরকে কৈশোর থেকেই পছ্ন্দ করতেন। নাতাশা যখন লন্ডনে বসবাস করতে রীতিমতো ‘স্ট্রাগল’ করছেন, তখন বলিউডের ‘ভদ্র ছেলে’ ফারদিন তাঁকে প্রপোজ করেন। মুম্বইয়ের আম্বে ভ্যালিতে ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে হয় তাঁদের।
জায়েদ খান: বন্ধুত্ব থেকেই এক্কেবারে বিয়ে। বলিউড তারকা জায়েদ খান ও তার স্ত্রী মালাইকা পারেখের প্রেম ও বন্ধুত্ব একেবারে ছোটবেলায়। তবে মালাইকার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছেন জায়েদ। ২০০৫ সালে বিয়ে করেছেন তাঁরা।
হৃতিক রোশন: স্ত্রী সুজান এখন প্রাক্তন। কিন্তু সুজানের সঙ্গে হৃত্বিকের প্রেম কিন্তু একেবারে অল্পবয়সে। ট্র্যাফিকে গাড়ি আটকে ছিল। তখনই নাকি প্রথম দেখা। ৫ বছরের প্রেমের পর ২০০০ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। বিচ্ছেদ হয়েছে সম্প্রতি।দুই সন্তানের দায়িত্ব পালনে এখনও তাঁরা পরস্পরের ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’।