কেউ এক বার প্রেমে পড়েন। কেউ পড়েন বার বার। তবে বলিউডের তারকাদের দিকে তাকালেই আরও বেশি কিছু চোখে পড়বে। আজ এমনই কিছু তারকাদের কথা জেনে নেব, যাঁরা এক বার বা দু’বার নয় তারও বেশি বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন।
সঞ্জয় দত্তের জীবনে বহু মহিলার আনাগোনাই ছিল— পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল তাঁর বায়োপিক দেখে। রিচা শর্মার গলায় প্রথম মালা পরিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। ত্রিশালা নামের একটি কন্যাও রয়েছে তাঁদের দু’জনের। তার পরে মডেল রিয়া পিল্লাইকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। কিন্তু সে বিয়েও বেশিদিন টেকেনি। আর তার পরেই মান্যতা দত্তকে বিয়ে করেন বলিউডের সঞ্জু বাবা।
প্রথমে বাণী গণপতি নামের এক নৃত্যশিল্পীকে বিয়ে করেছিলেন কমল হাসান। দশ বছর পরে ডিভোর্স হয়ে যায় কমল এবং বাণীর। তার কিছু দিন পরেই বলি অভিনেত্রী সারিকাকে বিয়ে করেছিলেন কমল হাসান। সে বিয়েও টেকেনি বেশি দিন। ২০০৫ সালে দক্ষিণী অভিনেত্রী গৌতমী তাডিমাল্লাকে বিয়ে করেন কমল।
প্রতিমা নামের এক ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা কবীর বেদি। কিছুদিনের মধ্যেই ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল দু’জনের। তার পরেই ব্রিটিশ ফ্যাশন ডিজাইনার সুজান হামফ্রেজকে বিয়ে করেন কবীর। তাঁদের দু’জনের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। সুজানের সঙ্গে ডিভোর্সের পরে নিক্কি নামের একজন রেডিও অ্যাঙ্করকে বিয়ে করেছিলেন কবীর। সে বিয়েও বেশি দিন টেকেনি। আর তার পরেই দীর্ঘদিনের বান্ধবী পারভিন দুসাঞ্জকে বিয়ে করেছিলেন কবীর।
‘দিল মিল গ্যায়ে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন কর্ণ সিংহ গ্রোভার। এই সিরিয়ালেরই নায়িকা শ্রদ্ধা নিগমকে প্রথমে বিয়ে করেছিলেন কর্ণ। ১০ মাসের মধ্যেই বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল দু’জনের। তার পরে জেনিফার উইঞ্জেটকে বিয়ে করেছিলেন কর্ণ। সে বিয়েও ভেঙে গিয়েছিল। আর তার পরে বিপাশা বসুকে বিয়ে করেন কর্ণ সিংহ গ্রোভার।
চার বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন কিশোর কুমার। ১৯৫০ সালে রুমা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেছিলেন এই গায়ক। তার ঠিক দশ বছরের মাথায় অভিনেত্রী মধুবালার গলায় মালা পরিয়েছিলেন তিনি। কিশোর কুমারের তৃতীয় পত্নীও এক বলি অভিনেত্রী, যোগিতা বালি। দু’বছর টিকেছিল সেই বিয়ে। ১৯৮০ সালে অভিনেত্রী লীনা চন্দ্রভারকরের প্রেমে পড়েছিলেন কিশোর কুমার।
১৯৭৫ সালে পঙ্কজ কপূরকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী নীলিমা আজিম। তাঁদেরই পুত্র শাহিদ কপূর। কিন্তু শাহিদের জন্মের তিন বছর পরে ১৯৮৪ সালে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল পঙ্কজ ও নীলিমার। ১৯৯০ সালে ফের রাজেশ খট্টরকে বিয়ে করেন নীলিমা। দু’জনের বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০০১ সালে। নীলিমা আর রাজেশেরই পুত্র ঈশান খট্টর। ২০০৪ সালে রাজা আলি খানকে বিয়ে করেন নীলিমা। কিন্তু ২০০৯ সালেই ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল দু’জনের।