বলিউডের নায়িকাদের সিনেমায় গান গাওয়ার ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। শুরুটা করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ‘ব্লাফ মাস্টার’ ছবি দিয়ে। তার পর তো তিনি সিঙ্গলসও বার করে ফেললেন।
পিছিয়ে নেই তাঁর বোন পরিণীতি চোপড়াও। অনেকের মতে, প্রিয়ঙ্কার চেয়ে পরিণীতি বেশি ভাল গান করেন।
‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’ ছবিতে ‘মানা কে হাম ইয়ার নেহি’ শুনে গোটা ইন্ডাস্ট্রি একই কথা বলছে। প্রিয়ঙ্কা এবং পরিণীতির যদি একটা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা যায়, তা হলে দেখা যাবে মিনি দিদি (পরিণীতি এই নামেই ডেকে থাকেন প্রিয়ঙ্কাকে) একটু আগে এগিয়ে আছেন। প্রিয়ঙ্কা শুরুটা বেশ ভাল করেছিলেন। তিনি ইংরেজি গানও বেশ ভাল করেন। পরিণীতি নিজেই বলেছেন, ছোটবেলায় মিনি দিদি তাঁকে ইংরেজি গান শোনাতেন। সেই থেকে পরিণীতিরও গান শোনার অভ্যেস তৈরি হয়। আমেরিকা থেকে ফিরে প্রিয়ঙ্কা দিব্যি ওখানকার অ্যাকসেন্ট রপ্ত করে ফেলেছেন। ‘‘এখন ও গাইলে মনে হয় বিদেশি কেউ গাইছে,’’ প্রিয়ঙ্কার ইংরেজি গান প্রসঙ্গে পরিণীতি বলছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রিয়ঙ্কার গলায় একটা হাস্কি ভাব থাকায় ইংরেজি গানগুলো ভাল মানায়। অন্য দিকে পরিণীতির গলা ভীষণ মিষ্টি। গলার রেঞ্জও খুব ভাল। কারণ তিনি ক্লাসিকাল সংগীতের তালিম নিয়েছেন। দূরদর্শনের জন্য ছোটবেলায় গান করেছেন পরিণীতি। ভাল শিল্পী না হলে সেখানে সুযোগ পাওয়া মুশকিল। তাঁর কথায়, ‘‘গানের হাতেখড়ি আমার বাবা আর মিনিদিদির বাবার কাছে। আমরা ছোটবেলায় দুই বোন মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে ফাংশন করতাম। ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’র গান রিলিজ হওয়ার পর বাবা আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন।’’
টেকনোলজির দৌলতে অনেক সাধারণ মাপের গানও ভাল করে দেওয়া যায়। সে তুলনায় পরিণীতি অনেক ভাল গান করেন। ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’র গানে অতিরিক্ত অ্যারেঞ্জমেন্ট নেই। বেশ সাদামাঠা। তাতে পরিণীতির গলাটা আরও ভাল বোঝা গিয়েছে। এখানেই প্রিয়ঙ্কার চেয়ে পরিণীতি এগিয়ে গিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কার সব গানেই যন্ত্রানুসঙ্গের এত আধিক্য যে, তিনি আদতে কেমন গান করেন, সেটা ভাল বোঝা যায়নি।
অভিনেত্রীরা গান গাইলে শিল্পীরা কী করবেন? এই প্রশ্নটা পরিণীতিকে অনেক বার শুনতে হয়েছে। তাঁর জবাব, ‘‘যাঁরা ভাল সিঙ্গার, তাঁদের কেউ রিপ্লেস করতে পারে না।’’
‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’তে পরিণীতি একজন গায়িকা। ছবির নায়ক আয়ুষ্মান খুরানা জানালেন, পরিণীতি গানের ব্যাপারে ভীষণ সিরিয়াস। কলকাতায় শ্যুটিং চলাকালীন ‘পিয়া তোসে নয়না লাগে রে’ গানটি পরিণীতি গাইছিলেন। যতক্ষণ না ঠিক ‘নোট’ লাগছিল, পরিণীতি গেয়েই চলছিলেন। মেয়ের অধ্যবসায় আছে বলতে হবে!