সারা আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের এই প্রজন্মের উঠতি তারকা তিনি। অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশের বছর পাঁচেকের মধ্যেই নিজের জায়গা বানিয়ে ফেলেছেন নিজের দক্ষতায়। অভিনয়ের পাশাপাশি স্বভাবের জন্যও জনপ্রিয় সারা আলি খান। সমাজমাধ্যমের পাতাতেও প্রমাণ মেলে তাঁর জনপ্রিয়তার। অভিনয়ের পাশাপাশি ঘুরতেও বেশ ভালবাসেন তিনি। পাহাড় থেকে সমুদ্র, এমনকি তীর্থক্ষেত্রেও বেড়াতে যাওয়ায় না নেই সারার। একাধিক বার গিয়েছেন কেদারনাথে। প্রথম বার ছবির শুটিংয়ে, এখন যান সেই জায়গার টানে। লেহ্, লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীরেও একাধিক বার ঘুরতে গিয়েছেন সারা। এ বার কাশ্মীরে গিয়ে সেখান থেকে অমরনাথ যাত্রা শুরু করলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় প্রকাশ্যে এসেছে সারার অমরনাথ যাত্রা শুরুর ভিডিয়ো। সারার পরনে তুঁতে রঙের একটি জ্যাকেট, মাথাঢাকা লাল ওড়নায়, কপালে লাল তিলক। হাতে লাঠি নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। সারার সঙ্গে রয়েছেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও। তবে তীর্থযাত্রায় যাওয়ার পথে কোনও তারকাসুলভ জৌলুস নেই সারার সাজপোশাকে। আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী। ‘জ়রা হটকে জ়রা বাঁচকে’-এর প্রচারের সময় সহ-অভিনেতা ভিকি কৌশলের সঙ্গে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে গিয়েছিলেন সারা। সেখানে পুজো দেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে সমাজমাধ্যমে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়ে কেন মন্দিরে পা রাখছেন তিনি? ধেয়ে আসে এমন প্রশ্ন। আলোচনা শুরু হয় তাঁর ধর্মাচরণ নিয়েও। তার পরে এক অনুষ্ঠানে নিন্দকদের সমালোচনার জবাবও দেন সারা।
সারা বলেন, ‘‘আমি খুব মন দিয়ে আমার কাজ করি। আমি আমার দর্শক ও অনুরাগীদের জন্যই কাজ করি। আমার খারাপও লাগবে যদি আপনারা আমার কাজ পছন্দ না করেন। তবে, ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জায়গাটা আমার নিজস্ব। আমি বাংলা সাহিব, মহাকাল মন্দিরেও সেই শ্রদ্ধা নিয়েই যাই, যে শ্রদ্ধা নিয়ে আমি অজমের শরিফে যাই। আমি আমার যাওয়া বন্ধ করব না।’’ যে কোনও ধর্মস্থানের আবহের উপর বিশ্বাস রাখেন সারা। স্রেফ ধর্মের রং দেখে নিজের বিশ্বাসের জায়গায় বদল আনবেন না তিনি, সাফ জবাব দেন নায়িকা।