প্রিয়ঙ্কা চোপড়া কি মা হতে চলেছেন? পিগি চপসের বিয়ের আগে ও পরে বলিউড এমনকি হলিউডেরও কেউ কেউ নাকি বলেছিলেন প্রিয়ঙ্কা অন্তঃসত্ত্বা। তাই এত তাড়াতাড়ি বিয়ের সিদ্ধান্ত!
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর মার্কিন পপ তারকা নিক জোনাসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন প্রিয়ঙ্কা। বিয়ের আগে থেকেই এমন একটি গুঞ্জন ছিল। এ বার নিজেই তার খোলামেলা জবাব দিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন এটা প্রমাণ করতে কী করলেন পিগি চপস?
বিগ ফ্যাট ওয়েডিংয়ের পর প্রথম বার টেলিভিশনে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন সমাজকর্মী ও সঞ্চালিকা এলেন ডিজেনারেসের।
এলেন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, নিকের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্তের পিছনে পরস্পরের প্রতি ভাল লাগা ছাড়াও কি অন্য কিছু রয়েছে? প্রিয়ঙ্কা কি মা হতে চলেছেন?
প্রিয়ঙ্কা বলেন, তিনি অসম্ভব ভালবাসেন শিশুদের। তা থেকেই এমনটা হয়ত মনে হয়েছিল। কারণ তাঁর প্রিয় বন্ধু মেগান মর্কেলের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে তিনি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত ছিলেন।
প্রিয়ঙ্কা এও বলেন, সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার সব বন্ধুরাই মা হতে চলেছেন, আমারও বেশ ইচ্ছা করে, আমিও মা হই। সেই কথারই ভুল অর্থ বের করা হয়েছে।’’
প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে নিকের এই ছবিটি দেখেই প্রথম গুঞ্জন শুরু হয়েছিল প্রিয়ঙ্কা মা হতে চলেছেন। এ কথাও এলেন তাঁর শোয়ে বলেছেন ‘কোয়ান্টিকো’ তারকাকে।
প্রিয়ঙ্কা যদিও বলেন, এ জাতীয় কথা বলার কোনও মানেই নেই। এলেন জিজ্ঞাসা করেন, প্রিয়ঙ্কার মা কেন বিয়ের দিন একটু মনমরা ছিলেন? তখন প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘মাত্র ২০০ জন অতিথি ছিলেন আমার বিয়েতে। ভারতীয় বিয়েতে সাধারণত হাজার জন আমন্ত্রিত থাকেই। মা অনেক বন্ধুকে ডাকতে পারেনি।”
প্রিয়ঙ্কা বলেন, নিক একজন সুন্দর মনের সহজ-সরল মানুষ। সেই কারণেই তাঁকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এত বছর বিনোদনের জগতে থেকেও নিক তাঁর পরিবার ও বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্বশীল, এতেই মন ভরে গিয়েছিল প্রিয়ঙ্কার।
এর পর এলেন বলেন, প্রিয়ঙ্কা মা হতে চলেছেন, এ খবরটা তা হলে একেবারেই সত্যি নয়?
এর পর এলেনের কথায় প্রিয়ঙ্কা বলেন, তিনি এ বার টেলিভিশনের সামনেই প্রমাণ করে দেবেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন। এরকম একটা সুখবর থাকলে তিনি কখনওই তা গোপন করতেন না। এলেনের অনুরোধে তাঁর সামনে এর পর এই কাজটিই করলেন প্রিয়ঙ্কা।
এলেনের সামনে থেকে টাকিলা শট (অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়) নিয়ে প্রিয়ঙ্কা বললেন, “অন্তঃসত্ত্বা হলে আমি কখনও অ্যালকোহল ছুঁয়েও দেখতাম না। এ বার বিশ্বাস হল তো?”