করিনা কপূর দাবি করেন, ২৫-৩০ বছরে তিনি যেমন ছিলেন, এখন ৪৫ ছুঁইছুঁই বয়সে আরও বেশি ভাল আছেন। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স তাঁর মুখের রেখায় হিসাব কষে যাচ্ছে নিরন্তর, যেমন আর পাঁচজন মহিলার ক্ষেত্রে যায়। কিন্তু তিনি তো যেমন-তেমন মহিলা নন। তিনি ‘বেবো’, বলিউডের সব থেকে নাটুকে নায়িকা! অন্তত তেমনই মনে করে সমালোচক মহল। অথচ, মুখে আঁকিবুকি কেটে যাওয়া বলিরেখায় কোনও আপত্তি নেই করিনা কপূর খানের। বরং তিনি দাবি করলেন, ২৫-৩০ বছরে তিনি যেমন ছিলেন, এখন ৪৫ ছুঁইছুঁই বয়সে আরও বেশি ভাল আছেন।
সদ্য করিনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রাক্তন প্রেমিক শাহিদ কপূরের। অনুষ্ঠানমঞ্চে পরস্পর কথা বলেছেন, হাসাহাসি করেছেন। এমনকি জড়িয়েও ধরেছেন একে অপরকে। বেশ কয়েক বছরের সম্পর্ক তাঁদের ভেঙে গিয়েছিল ২০০৭ সালে ‘জব উই মেট’ ছবির পর। হিসাব বলছে তখন করিনার ২৭ বছর বয়স। ২০১২ সালে তিনি বিয়ে করেন সইফ আলি খান পটৌদীকে। আর এ বার করিনা বললেন, “২০ দশকে আমি যেমন ছিলাম, এখন তার চেয়ে বেশি সুখী।”
সম্প্রতি, হলিউড অভিনেত্রী জিলিয়ন অ্যান্ডারসনের সঙ্গে এক একান্ত কথোপকথনে পাওয়া যায় করিনাকে। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে তারকাদের ‘কসমেটিক সার্জারি’-র প্রসঙ্গ। জিলিয়ন দাবি করেন, চলচ্চিত্র জগৎ তাঁদের বাধ্য করছে এ ধরনের কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম্বন করতে। তিনি বলেন, “এমন বহু অভিনেতাকেই দেখা যাবে যাঁরা কোনও নির্দিষ্ট বয়সে নিজেদের চেহারাকে বেঁধে ফেলতে চেয়েছেন। তার জন্য আবার নানা রকম কথাও শুনতে হয়েছে।” এ বিষয়েই করিনা বলেন, “আমার মনে হয় এটা ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। আমি তো ওই বলিরেখাগুলি দেখতেই ভালবাসি। আমার মনে হয় এতে আমাকে আরও আবেদনময়ী দেখতে লাগে। আমি তো এই মধ্য চল্লিশে এসে আরও বেশি সুখী মনে করি নিজেকে, অন্তত ২০-৩০ বছরে যেমন ছিলাম, তার চেয়ে। এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে মেনে নিতে চাই। এখনও অতটা বয়স হয়ে যায়নি, আর আমি এখনও দুনিয়া কাঁপাতে পারি।”
গত বছরই করিনাকে দেখা গিয়েছে, ‘বাকিংহাম মার্ডারস’ এবং ‘সিংহম আগেন’ ছবিতে। এর পর তাঁকে দেখা যাবে মেঘনা গুলজ়ারের ছবিতে। সে ছবির নাম এখনও স্থির হয়নি। এ দিকে করিনা নিজেই জানিয়েছেন, বড় ব্যানারের দক্ষিণী ছবিতে কাজ করতে চলেছেন তিনি।