(বাঁ দিকে) ববি দেওল। সানি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
দাদা-ভাই দু’জনের পড়তি কেরিয়ারে যে এমন ধুমকেতুর মতো উত্থান হবে, স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি ধর্মেন্দ্রের দুই ছেলে। ‘গদর ২’ ছবির মাধ্যমে ফের অভিনয় জীবন গতি পায় সানির। এ বার ‘অ্যানিম্যাল’-এর মাধ্যমে যেন একই ঘটনা ঘটল ববি দেওলের সঙ্গে। ছবিতে গোটাটা জুড়ে রণবীর কপূর, সাকুল্যে ২০ মিনিট মতো রয়েছেন ববি। সংলাপ নেই। তাতেই যে কামাল করেছেন, ছবি মুক্তির পর বুঝতে পারছেন ববি। রণবীরের প্রশংসা যেমন হয়েছে, তেমনই চর্চা ববিকে নিয়ে। ভাইয়ের এমন সাফল্যে খুশি বড় দাদা সানি। কিন্তু ‘অ্যানিম্যাল’ ছবি নাকি মোটেও ভাল লাগেনি সানির।
১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত ছবি ‘অ্যানিম্যাল’। মুক্তির প্রথম দিনে স্রেফ ভারতীয় বক্স অফিসেই ৬১ কোটি টাকা উপার্জন করে খাতা খুলেছিল ওই ছবি। সপ্তাহ পার করার আগেই বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ঘরে তোলে এই ছবি। যদিও ছবিতে উগ্র পৌরষ, হিংস্রতা, নারীবিদ্বেষ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। তাতে যদিও প্রভাব পড়েনি ছবি বাণিজ্যিক সাফল্যে। ‘অ্যানিম্যাল’-এ আব্রার নামক খলচরিত্রে দেখা যায় ববিকে। আগে দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় বিয়ে করে চরিত্রটি। শুধু তা-ই নয়, চরিত্রটি এতটা উগ্র ও নারীবিদ্বেষী যে, বিয়ের দিন প্রকাশ্যে স্ত্রীর উপর জবরদস্তি শুরু করে, এমনকি বৈবাহিক ধর্ষণও করে। তবু তাতে কোনও হেলদোল নেই এই আব্রারের। এমন এক জন হিংস্র মানুষের চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার সময় কোনও অস্বস্তি অনুভব করেননি কি অভিনেতা? ববির সাফ কথা, ‘‘আমি যখন শুটিং করেছি, আমার মধ্যে কোনও অস্বস্তি ছিল না।’’ যদিও ‘অ্যানিম্যাল’ নিয়ে অন্য মত সানির। তাঁর সাফ কথা, ‘‘এই ছবির অনেক কিছুই আমার ভাল লাগেনি। ববির জন্য আমি খুশি। বেশ কয়েকটা দৃশ্য আমার পছন্দ হয়নি। যেমন অন্যের সিনেমাতে ভাল লাগে না। আমার নিজের ছবিতেও ভাল লাগে না অনেক কিছু। এক জন দর্শক হিসাবে আমার ব্যক্তিগত মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। ‘অ্যানিম্যাল’-এর গানগুলো বেশ ভাল। সিনেমার দৃশ্যের সঙ্গে মানানসই। ববি ভীষণ সাবলীল। এখন তো ও আবার লর্ড ববি।”