‘বিলু রাক্ষস’-এর একটি দৃশ্যে জয় সেনগুপ্ত। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭। মুক্তি পেয়েছিল ‘বিলু রাক্ষস’। ডেবিউ ছবিতেই চমকে দিয়েছিলেন পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য। অন্তত সিনে মহলের একটা অংশ তেমনটাই মনে করেন। এ বার এই ছবির মুকুটে যোগ হল এক নতুন পালক।
স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ফিলোজফিক্যাল, অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড ফিলম স্টাডিজ-এর ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগ ‘লিবারেটিং সিনেমা ২০১৭’ নামের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানেই আমন্ত্রিত হয়েছে ছবিটি। আমন্ত্রণ পেয়েছেন পরিচালকও।
আগামী ১ মার্চ সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্দ্রাশিসের উপস্থিতিতেই দেখানো হবে ‘বিলু রাক্ষস’। এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি তিনি। বিভিন্ন দেশের ছবির মধ্যে বাংলা ছবি হিসেবে ‘বিলু রাক্ষস’-এর আমন্ত্রণ পাওয়া নিঃসন্দেবে গর্বের বিষয়। থাকবে সিনেমা সংক্রান্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তরও।
আরও পড়ুন, দেবলীনা কি আপনার গার্লফ্রেন্ড? মুখ খুললেন গৌরব
সূত্রের খবর, ছবিটি বিশেষজ্ঞদের পছন্দ হলেও বক্স অফিসে তেমন সাফল্য পায়নি। এই নতুন উড়ানে সে প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন ছবির অন্যতম অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। তাঁর কথায়, ‘‘বিলু রাক্ষস যে অ্যাসথেটিক সাফল্য পাবে সেটা আমি আগেই ইন্দ্রাশিসকে বলেছিলাম। সেটাই হল। আমার সিভিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছবি এটা। যেটা সিভির মান বা়ড়িয়েছে। আসলে আমাদের এখানে তো সব ছবি চলতে দেওয়া হয় না। কারও কারও ইচ্ছে অনুযায়ী ঠিক হয় কোন ছবি চলবে, কোনটা চলবে না। তার ফল ভুগেছে বিলু রাক্ষসও। এ সব আর কতদিন চলবে, বলতে পারেন?’’
আরও পড়ুন, ‘রিইউনিয়ন’-এ সারপ্রাইজ দেবেন নচিকেতা
বিশ্বের দরবারে বাংলা সিনেমাকে তুলে ধরা সত্যিই গর্বের বিষয়। কিন্তু প্রদীপের তলায় লুকিয়ে থাকা অন্ধকারের কি আদৌ কোনও সমাধান হবে? প্রশ্নটা উঠছে বিভিন্ন মহলে।