Bidisha Chowdhury on Sandip Chowdhury death

‘রিনাদি ভাইয়ের কোনও খবরই নেয়নি’! ননদের অভিযোগের জবাব দিলেন অঞ্জন-পুত্রবধূ

অঞ্জন-পুত্র সন্দীপ চৌধুরীর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২ দিন হল। এরই মধ্যে বোন রিনার প্রতিক্রিয়া নিয়ে টলিপাড়ায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। অবশেষে মুখ খুললেন স্ত্রী বিদিশা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৭
Share:

অঞ্জন-পুত্র সন্দীপ চৌধুরীর মৃত্যু প্রসঙ্গে রিনা চৌধুরীর মন্তব্যের কী উত্তর দিলেন বিদিশা?

২ জানুয়ারিতে ইকবালপুর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর ছেলে সন্দীপ চৌধুরী। তিনি নিজেও বাংলা সিরিয়াল পরিচালনা করতেন। দাদার মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর বোন রিনা চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ভাই একদমই যত্ন পাননি। রিনা ও তাঁর দিদি চুমকি চৌধুরী পুরোটাই অন্ধকারে ছিলেন। যদিও সেই পরিস্থিতিতে সন্দীপের স্ত্রী বিদিশা চৌধুরীর তরফ থেকে কোনও মন্তব্যই শোনা যায়নি। এ প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন বিদিশা।

Advertisement

১৩ জানুয়ারি কাজ মিটেছে সন্দীপের। এখনও স্বামীকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিদিশা। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না কেন বুকাইদি (রিনা চৌধুরীর ডাকনাম) এমন কথা বলল। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র পাবলিসিটি স্টান্টের জন্য এমন কথা বলে দিল? ভাইয়ের কোনও খবর নেয়নি। শেষ ছ’মাস একটা ফোন পর্যন্ত করেনি বুকাইদি। চুমকিদি সর্ব ক্ষণ আমার সঙ্গে ছিল। সন্দীপ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরের দিন রিনাদির স্বামী এক দিন হাসপাতালে দেখে গিয়েছিলেন। দিদি এবং স্বামীর থেকে খবর পাওয়ার পরও কী ভাবে উনি বললেন, অন্ধকারে রয়েছেন।”

তা হলে কি কোনও সমস্যা ছিল রিনা এবং সন্দীপের মধ্যে? বিদিশাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, “না, কখনও আমাদের মধ্যে ঝগড়া-তর্ক কিছুই হয়নি। তবে হ্যাঁ, ‘অগ্নিশিখা’ সিরিয়ালের সময় সন্দীপের সঙ্গে লিখছিল রিনাদিও। কিন্তু চ্যানেল কোনও কারণে বাদ দিয়ে দেয় দিদিকে। সেই রাগ থেকেই কি এমন কথা বলল দিদি? আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না। কারণ আমার ভাবার মতো ক্ষমতাও নেই। ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব আমার কাঁধেই, তাই আর অন্য কিছু ভাবতে পারছি না।”

Advertisement

সন্দীপ এবং বিদিশার ছেলে এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। স্বামী চলে যাওয়ার পর টাকাপয়সা, সংসার চালানো— এখন সবই তাঁর একার দায়িত্ব। বেহালায় নিজের বাড়িতেই রয়েছেন। চার মাস আগে শাশুড়ি মারা গিয়েছেন। আপাতত ছেলেকে নিয়ে জীবনকে নতুন ভাবে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় বিদিশা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement