ভূমি এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন , যে চরিত্রগুলি সামাজিক নানা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর সাহসী বিজ্ঞাপনের প্রশংসা করলেন ভূমি পেডনেকর। সমাজের প্রচলিত নিয়মবিধিকে যেখানে প্রশ্ন করা হয়েছে, নারী কী পরবে, কাকে বিয়ে করবে, এই সব বিষয়ে যাঁরা হস্তক্ষেপ করেন, তাঁদেরকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করানো হয়েছে এখানে।
ইনস্টাগ্রামে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরুর দিকের প্রতিবন্ধকতার কথাও উল্লেখ করেন অভিনেত্রী। তাঁকে শুনতে হয়েছিল, প্রথম সারির তারকা হিসাবে কখনওই তিনি সফল হবেন না। প্রথম ছবিই হবে তাঁর শেষ ছবি— শুনতে হয়েছে এমন কটাক্ষও।
প্রচলিত অর্থে সুন্দরী বলতে যেমনটা মনে হয়, ভূমির চেহারা নাকি তেমনটা নয়, বহু বার এমন কথা শুনেছেন তিনি।
২০১৫ সালে ‘দম লগাকে হাইশা’ দিয়ে অভিনয় শুরু করেন ভূমি। ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ ( ২০১৭), ‘বধাই দো’ (২০২২) ইত্যাদি ছবিতে এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভূমি, যারা সামাজিক নানা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে সরব।
তিনি সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেন, “সেই সময়ে নানা কথা শুনতে হত। কোনও দিন তারকা হিসাবে আমার জায়গা হবে না। আমার প্রথম ছবিই আমার শেষ ছবি হবে। বেশি ওজন নিয়ে আমি নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছি— শুনতে হয়েছে এমনটাও। আমাকে সাবেকি সুন্দরীদের মতো দেখতে নয়, এমনও বলা হয়েছে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখানে আমার সুযোগ হবে না।’’
তিনি যোগ করেন, “আমি ভেবেছিলাম, প্রচলিত নিয়ম এবং ছক ভাঙব। নারীরা শৃঙ্খলে বাঁধা আছে, সেই বাঁধন তারা ছিঁড়ে ফেলতে চায়।”
ছবিতে যে সব নায়িকা নাচগানের দৃশ্যে অভিনয় করেন, তাঁরা সিরিয়াস চরিত্রের অভিনেতাদের তুলনায় কম প্রতিভাবান বলে যে ভুল ধারণা আছে, তার বিরুদ্ধেও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন ভূমি।
তাঁর কথায়, "কমেডি সত্যিই সবচেয়ে কঠিন শিল্পমাধ্যম।... কেউ হয়তো ভাবে, এ তো শুধু গাছের ডাল ধরে নাচে আর গান গায়। কিন্তু না, এর জন্যেও সত্যিকারের প্রতিভা চাই।”
ভূমিকে শেষ বার দেখা গিয়েছে ‘ভীড়’ ( ২০২৩) ছবিতে। সহ-অভিনেতা ছিলেন রাজকুমার রাও, দিয়া মির্জা, আশুতোষ রানা প্রমুখ।২০২০ সালের অতিমারি পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল ছবিটি।