ভূমির দাবি, প্রশ্নটা ভ্যানিটি ভ্যানের নয়, বাইরের পৃবী থেকে কে কতখানি বিচ্ছিন্ন, প্রশ্নটা সেখানেই। — ফাইল চিত্র।
গর্বে যে সব তারকার মাটিতে পা পড়ে না, তাঁদের সঙ্গে তিন মাসের শিশুর তুলনা টানলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ। বললেন, “আহা রে, কফির কাপটুকু নিজে হাতে ধরতে পারে না!” কিন্তু কী ভাবে উঠল সেই প্রসঙ্গ?
রত্না এমনিতেই চাঁছাছোলা মন্তব্য করে শিরোনামে আসেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, “অনেক বড় অভিনেতা দেখেছি। ভ্যানিটি ভ্যান থেকে নামতেই পারেন না। আমি বাপু মাটিতে পা দিয়ে চলি।”
অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকর সহমত হলেন না রত্নার সঙ্গে। রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে নতুন ছবি ‘ভিড়’-এর প্রচারে এসেছিলেন ভূমি। তারকাদের ভ্যানিটি ভ্যান এবং অন্যান্য উপকরণ কতটা প্রভাব ফেলে কাজে, এই প্রশ্ন ভূমিকে করা হলে তিনি বলেন, “এটা কাউকে কতটা প্রভাবিত করবে, সেটা নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষের উপর। তিনি কতটা শিকড়ের কাছাকাছি থাকতে চান, সেটা তিনিই ঠিক করবেন।”
সাধারণের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা এবং যখন তখন ভ্যানিটি ভ্যানে উঠে পড়ার প্রবণতাকে ঠুকে এর আগে বেশ কিছু কথা বলেছেন রত্না। নিজের এক অভিজ্ঞতা তুলে ধরে রত্না বলেন, “আমি এমন অভিনেতাকেও দেখেছি যার কফি সহকারী এনে দিচ্ছে, ঢাকনা খুলে দিচ্ছে, এক বার করে চুমুক দিয়ে অভিনেতা কাপটি দিচ্ছে সহকারীর হাতে। সে কি তিন মাসের শিশু? এতটা নির্ভরতা যে, একটা কাপ ধরে থাকতে পারে না?” অনেক ভাল অভিনেতার কেরিয়ার এই তারকাসুলভ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখেছেন রত্না।
তবে ভূমির দাবি, প্রশ্নটা ভ্যানিটি ভ্যানের নয়। তিনি বলেন, “তুমি বাইরের পৃথিবী থেকে কতখানি বিচ্ছিন্ন, প্রশ্নটা সেখানেই। সেটের মাঝখানে চেয়ার নিয়ে বসে থেকেও তো আমি কারও সঙ্গে কথা না বলতে পারি। আবার আমি তৈরি হওয়ার জন্য আমার ভ্যানেও থাকতে পারি। সকলের দৃষ্টিভঙ্গিই সম্মানের যোগ্য। কিন্তু আমার মনে হয়, এটা আমাদের উপর নির্ভর করে যে, কী ভাবে আমরা মাটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই। প্রতিটি প্রজন্মের ক্ষেত্রেই এটা সত্যি।”
ভ্যানিটি ভ্যানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দ্বিধাহীন ভূমি। তিনি বলেন, “আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা এমন একটা পরিসর পাই, যেটা আমাদের আগের প্রজন্ম পায়নি। ”ভ্যানিটি ভ্যানকে ‘নিরাপদ স্থান’ বলেও উল্লেখ করেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, “একটা পরিধি তৈরি করে প্রয়োজনে নিজের মতো থাকা যায়। সেটুকু তো গণতান্ত্রিক পরিবেশ দিতে পারে।”
অন্য দিকে, রাজকুমারও জানান, এখনও তিনি রাস্তার ধারের খাবার খেতে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, “একজন অভিনেতা বলে নিজের খুশি মতো বেঁচে থাকা আমি বন্ধ করব না। ”