Bhaswar Chatterjee

Bhaswar-Nabamita: বিচ্ছেদে সব ফুরোয় না, বার্তা দিয়ে ‘বন্ধু’ নবমিতাকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ভাস্বরের

পারস্পরিক এই টান কি ফের দু’জনকে বাঁধতে পারে? নবমিতা কিন্তু ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২২ ২০:৪০
Share:

ফের কি একে অন্যের কাছে ধরা দেবেন ভাস্বর-নবমিতা?

ভবানীপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। নিয়মিত হয়তো কথা হয় না। দেখাও নয়। তবু যে দিন মুখোমুখি বসেন, নিজেকে উজাড় করে দেন নবমিতা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি উত্তমকুমারের নাতজামাই! হলেনই বা ‘প্রাক্তন’! আইনি পথে হেঁটে বিচ্ছিন্ন না হলে বৃহস্পতিবার তাঁরা অষ্টম বিবাহবার্ষিকী পালন করতেন। যদিও তা হয়নি। তাতে কী? বন্ধুত্বের দাবিতে একে অন্যকে তো শুভেচ্ছা জানানোই যায়! সেই ভাবনা থেকেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি পোস্ট দিয়েছেন ভাস্বর। পোস্টে এক ফ্রেমে ধরা দিয়েছে অতীত দাম্পত্য। সঙ্গে বক্তব্য, ‘বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ আমাদের দিন শুরু। সব ঠিক থাকলে এটা আমাদের অষ্টম বিবাহবার্ষিকী হত। কিন্তু ঈশ্বরের অন্য ইচ্ছে....যাই হোক। সুস্থ থেকো। ভাল থেকো।’

হঠাৎ এ রকম পোস্ট দিলেন কেন ভাস্বর? শ্যুটের ফাঁকে আনন্দবাজার অনলাইনকে ‘কাঞ্চি’ ধারাবাহিকের অভিনেতা বললেন, ‘‘ভাঙনকালে ইচ্ছে হল, গড়ার কথা বলি। বলি, কলমের এক আঁচড়ে সব শেষ হয়ে যায় না। সব ফুরোবার নয়। বিচ্ছেদ মানেই কাদা ছোড়াছুড়ি নয়। একে অন্যের প্রতি অভিযোগের পাহাড় চাপিয়ে দেওয়াও নয়। বিয়ে ভাঙলেও বন্ধু হওয়া যায়। টলিউড এবং সমাজে এই বার্তা দিতেই এই পোস্ট। এর জন্য ফেসবুকের থেকে ভাল মাধ্যম আর কী হতে পারে!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল নবমিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। কথার শুরুতেই তিনি স্মৃতিকাতর, ‘‘ভাস্বর বরাবর ছিমছাম। হাল্কা অথচ স্বাদু খাবার ওর পছন্দ। এই দিনে তাই আমরা একসঙ্গে খেতে যেতাম ওর পছন্দের কোনও রেস্তরাঁয়। উদযাপন নাই হোক, সুস্থ সম্পর্ককে সামনে রেখে শুভেচ্ছা বিনিময় করাই যায়। সেটাই করেছি আমরা।’’

নবমিতার আরও দাবি, সম্পর্কের বেড়া ভাঙতেই তাঁরা নাকি একে অন্যের আরও বেশি আপন। কথা হয়তো কম হয়। কিন্তু হলে থামতে চায় না! সেই অনর্গল কথার জন্যেও তো এমন দিনে তাঁরা দেখা করতেই পারতেন? উত্তমকুমারের নাতনির দাবি, ‘‘আমি আপাতত ফাঁকা। ভাস্বর তা নয়। ওর কাজ রয়েছে। আর রয়েছে অতিমারি। ফলে, ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই।’’

অতিমারির কারণে মায়ের মুখ চেয়ে ২০২১ সাল বাড়িতেই কাটিয়েছেন নবমিতা। কথায় কথায় জানালেন, নতুন বছরে খুব ইচ্ছে কাজের স্রোতে ফেরার। পারস্পরিক এই টান কি ফের দু’জনকে বাঁধতে পারে না? নবমিতা কিন্তু ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, ভাস্বরেরও যদি মনে হয় সব মুছে আবার এক ছাদের নীচে থাকা সম্ভব, অবশ্যই তিনি ভেবে দেখবেন। ভাস্বরের দাবি, ‘‘ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে! ২০১৪-য় যখন সাতপাক ঘুরেছিলাম, তখন বুঝিনি ২০২২-এ আমরা এক ছাদের নীচে আর থাকব না। তাই পুরোটাই সময়ের হাতে ছেড়ে দিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement