নীল এবং তিয়াসার খুনসুটি। নিজস্ব চিত্র।
নিখিল মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সে আদৌ সুস্থ হচ্ছে কিনা দর্শক জানে না। একটু ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে মাত্র, নিখিল দুষ্টের দমনের পক্ষেশ্যামার লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার দিকে এগোচ্ছে। দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে যৌথ পথচলা হচ্ছে শুরু। শ্যামার শ্বশুর বসন্ত চৌধুরী (শঙ্কর চক্রবর্তী) এতদিন মুখ ফিরিয়েছিলেন। তিনিও এখন শ্যামার সঙ্গে। মেজদা অশোক (বিভান ঘোষ) আগে থেকেই শ্যামার পক্ষে।শ্যামা-নিখিলের পরিবার একসঙ্গে হয়ে লড়াই করছে। কিন্তু বড়দা অরুণ(কৌশিক ভট্টাচার্য) অসন্তুষ্ট। ভিলেন আদিত্য চৌধুরীর (রাজীব বসু)দিকেই যেন ঝুঁকে পড়ছে। এই গল্পই পেল সর্বোচ্চ দর্শকপ্রিয়তার স্বীকৃতি। চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় প্রথম হল ‘কৃষ্ণকলি’।
ফার্স্ট গার্লের অনুভূতি কেমন?
‘কৃষ্ণকলি’র শ্যামা তিয়াসা রায় হেসেই কুটিপাটি, “ফার্স্ট হতে কার না ভাললাগে। গতকাল সারারাত শুট করেছি। আজ ভোর পাঁচটায় প্যাকআপ হয়েছে। আবার দশটার মধ্যে ফ্লোরে এসেছি। মুড খুব খারাপ ছিল। যেই ১৩ নম্বরস্টুডিওর গেট পেরিয়েছি অমনি আমাদের ইপি সংযুক্তাদি দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল। ওর কাছেই প্রথম শুনলাম, আমরা ফার্স্ট। শুনেই মুড ভাল হয়ে গেল। সবাই খুব আনন্দ করছি। ফ্যানরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এই সপ্তাহে আমি নাম্বার ওয়ান সিরিয়ালের হিরোইন!”
ধারাবাহিকের পরিচালক বিজয় মাজিও উচ্ছ্বসিত, “আবার এক নম্বরে আসার আনন্দ... সবার সম্মিলিত প্রয়াস। দর্শককে থ্যাঙ্কিউ। আবার তাঁরা দেখতে শুরু করেছেন আমাদের সিরিয়াল।”
গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ‘কৃষ্ণকলি’ টিআরপি তালিকায় প্রথম হওয়ার গৌরব হারায়। ‘ত্রিনয়নী’, ‘রাসমণি’, কখনও ‘শ্রীময়ী’ ‘কৃষ্ণকলি’কে টপকে ওপরের দিকে চলে যায়। গত সপ্তাহে আনন্দবাজার ডিজিটালকে ধারাবাহিকের পরিচালক বিজয় বলেছিলেন, “এন্ড অব দ্য ডে ‘দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন’, যেটা চিরায়ত সত্য সেটাই দেখতে পছন্দ করেন দর্শক। আদিত্যর গল্পটা বড় ছিল। গল্পটার শেষে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। সেজন্যই দর্শক হয়তো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। আমাদের বিশ্বাস, চলতি গল্পের শেষের দিকে দর্শক ফিরবে।”
আরও পড়ুন-প্রেগন্যান্সির সাড়ে সাত মাস পর্যন্তও শুটিং করেছি: পায়েল
তাঁর অনুমান একেবারে সঠিক। ‘দুষ্টের দমন’ প্রক্রিয়া শুরু হতেই দর্শক মুখ ফিরিয়েছেন কৃষ্ণকলি’র দিকে। এই পজিশনই কি থাকবে মনে হয়?
তিয়াসা বললেন, “আপ ডাউন তো হবেই। কিন্তু সবাই যেমন চেষ্টা করে হান্ড্রেডে হান্ড্রেড পাওয়ার জন্য, আমরাও ফুল ইউনিট চেষ্টা করব।”
আরও পড়ুন-বিয়ের এক বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদ হয়ে গেল এই বাঙালি অভিনেত্রীর
ধারাবাহিকের নিখিল নীল ভট্টাচার্য তিয়াসার সুরে সুর মেলালেন, “আমি ভীষণ খুশি। এভাবেই লড়তে থাকব। একটা হেলদি কম্পিটিশন... আমরা চেষ্টা করব যাতে অডিয়েন্সকে হ্যাপি করতে পারি।”
পরিচালক বিজয় আত্মবিশ্বাসী। বললেন, “পজিশন ধরে রাখতেই হবে। দর্শক যে গল্প দেখেছেন... এখনও পর্যন্ত কিন্তু দুষ্টের দমন হয়নি, দমনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে... দর্শক যা দেখতে পছন্দ করে। আশা করি দর্শকের এবার আরও ভাল লাগবে।”