নীল এবং বিভান।
মেকআপ রুমে বসে কী করছে অশোক চৌধুরী? হঠাৎ 'নিখিল'-এর ছদ্মবেশ নিচ্ছে কেন? প্রস্থেটিক মেকআপ করে? শ্যামা কি তাহলে নতুন ষড়যন্ত্রের শিকার?
এই পর্যন্ত দর্শক নিতে পেরেছেন। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটে প্রস্থেটিক মেকআপ শেষ। অশোক হুবহু নিখিল! এই ব্যাপারটা কি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়? ফলে, দৃশ্যের কিছু অংশ আবার ভাইরাল। ফের ট্রোলড টিম ‘কৃষ্ণকলি’।
যে মেকআপের কথা এতদিন সাধারণে কানে শুনে এসেছেন, অশোক সেই বিশেষ মেকআপ গুণে নিখিল হচ্ছে। এই খবরে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল তুঙ্গে। একই সঙ্গে কেন এই মেকআপের প্রসঙ্গ আসছে? অশোক একে কোন খারাপ কাজে লাগাবে? সীমাহীন কৌতূহল ছিল সে সব নিয়েও। আর ছিল অধীর আগ্রহ, কীভাবে ধাপে ধাপে অশোক হুবহু নিখিল হয়ে উঠবে, তা দেখার।
কিন্তু সেই ক্ষণ এল কই? মেকআপ আর্টিস্টের (তিনিও নকল) হাতে ছুরি-কাঁচি। ব্যস্ত হাতে তুলি, কাঁচির কাজ। তারপরেই সেই চাপদাড়ি। সেই চোখ, মুখ, চুলের স্টাইল। মেকআপ শেষে চশমাটা পড়তেই অশোক চৌধুরী আর নিখিল চৌধুরীতে কোনও ফারাক নেই।
এই ভিডিয়ো নিয়েই যত ট্রোলিং
#NikhilerChoddobesheAshok #Krishnokoli #ZeeBangla
A post shared by Zee Bangla Official (@zeebanglaofficial) on
ধারাবাহিকে টুইস্ট আনতে গিয়ে প্রস্থেটিক মেকআপ সম্বন্ধে ভুল বার্তা দিচ্ছে না তো ‘কৃষ্ণকলি’? প্রশ্ন ছিল ‘অশোক’-এর কাছেই। উত্তরে ‘অশোক’ বিভান ঘোষের বক্তব্য, তাঁরা অভিনেতা মাত্র। যা করতে বলা হবে সেটাই করবেন। এর বেশি কিছু বলার নেই।
একজন শিল্পী হিসেবে তাঁর আফসোস হয়নি সঠিক প্রস্থেটিক মেকআপের সুযোগ না পেয়ে? অভিনেতার যুক্তি, ‘‘ধারাবাহিকের প্রয়োজনে অনেক কিছুতেই প্রপ ব্যবহার করতে হয়। সেটা এই ধারাবাহিকেও হয়েছে। বাস্তবে প্রস্থেটিক মেকআপ ব্যয়সাপেক্ষ। এবং সময় সাপেক্ষ। যা ধাপে ধাপে দেখানো অসম্ভব।’’
এর আগে প্রপ হিসেবে স্ক্রচ ব্রাইটের ব্যবহার, এবার প্রস্থেটিক মেকআপ দেখানোয় ত্রুটি--- ভাইরাল সোশ্যালে। এগুলো কি রেটিং কমানোর চক্রান্ত? কারণ, গত দু’সপ্তাহ ধরে ‘কৃষ্ণকলি’র টিআরপি ৯.১ এবং ১০.৩। বিষয়টিতে যদিও সায় নেই অভিনেতার। তাঁর কথায়, আগের ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পরেই তাহলে রেটিং কমে যেত।
যুক্তিতে জোর আছে। রেটিং বাড়াতে তাহলে কি পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত? ঘুরিয়ে নাক দেখানোর মতো?