মুম্বইয়ে ‘অতি উত্তম’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনে প্রসেনজিৎ ও তনুজা। ছবি: সংগৃহীত।
শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের জুহুর মাল্টিপ্লেক্সে উপস্থিতি এক টুকরো টলিপাড়া। মিলনোৎসবের নেপথ্যে রয়েছেন বাঙালির ম্যাটিনি আইডল উত্তম কুমার। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অতি উত্তম’-এর বিশেষ প্রদর্শনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা ও মুম্বইয়ের একাধিক শিল্পী।
ছবি দেখতে এসেছিলেন প্রবীণ অভিনেত্রী তনুজা। এই মুহূর্তে কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাই ছবি দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনিও। ছবি দেখার ফাঁকে তনুজার সঙ্গে কিছু ক্ষণ গল্পেও মেতেছিলেন বাংলার ‘বুম্বা’।
মহানায়কের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তনুজা। তাই শুরু থেকেই তাঁকে ছবিটি দেখাতে ইচ্ছুক ছিলেন সৃজিত। সেই মতো ছিল আয়োজন। তনুজার সঙ্গে প্রসেনজিতের বেশ অনেক দিন পর দেখা। কী কথা হল দু’জনের?
মুম্বই থেকে ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রসেনজিৎ বললেন, ‘‘তনু আন্টি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। ছবিটা ওঁর পছন্দ হয়েছে। আসলে উত্তম কুমারই আমাদের সকলকে এক ছাদের তলায় টেনে এনেছেন।’’
প্রসনেজিৎ জানালেন, মুম্বইয়ে তিনি নতুন কী কী কীজ করছেন, তার খোঁজ নিয়েছেন তনুজা। বিশেষ করে প্রসেনজিৎ অভিনীত হিন্দি ওয়েব সিরিজ় ‘জুবিলি’ নিয়েও দু’জনের কথা হয়েছে। প্রসেনজিৎ বললেন, ‘‘বাংলা ছবি নিয়েও আমাদের অনেক কথা হয়েছে। বিশেষ করে কোথায় কোথায় বাংলা ছবি দেখা যায়, সেগুলি তনু আন্টিকে বললাম।’’
ছবির প্রদর্শনে উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রসেনজিতের বাবা বর্ষীয়ান অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু প্রসেনজিৎ জানালেন, পুণেতে শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় বিশ্বজিৎ ছবির প্রদর্শনে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
‘অতি উত্তম’ প্রসেনজিতেরও ভাল লেগেছে। ছবিটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন একটি বিশেষ দৃশ্যে মহানায়ক প্রসেনজিতের ছবির পোস্টার দেখে জানতে চাইছেন, ‘‘এই ছেলেটি আবার কে?’’ তখন তাঁকে বলা হচ্ছে যে, ‘‘আপনার বন্ধু বিশুর ছেলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।’’
‘অতি উত্তম’-এর বিশেষ প্রদর্শনে (বাঁ দিক থেকে) রজিত কপূর, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তনুজা ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ছবিতে এই দৃশ্যটি কেমন লেগেছে তাঁর? সুপারস্টার হেসে বললেন, ‘‘খুব মজার লেগেছে। আমাদের প্রজন্মে আমি সেই গুটি কয়েক মানুষের মধ্যে এক জন যে, উত্তম জেঠুর সঙ্গে অভিনয় করার দুর্লভ সুযোগ পেয়েছে। অল্প বয়সে ‘রক্ততিলক’ বা পরবর্তী সময়ে ‘প্রতিশোধ’ ছবিটার কথা মনে পড়ে গেল।’’
সব শেষে সেই মানুষটি কী বলছেন, যাঁর তৈরি ছবিটি? তনুজা যে ছবিটি দেখেছেন, তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সৃজিত। আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘উনি ছবিটা দেখে সত্যিই খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। হাজার হলেও উনি ‘এন্টনী ফিরিঙ্গী’র নিরুপমা, ‘দেয়া নেয়া’র সুচরিতা।’’
কথাপ্রসঙ্গেই সৃজিত জানালেন, আগামী সপ্তাহে ‘অতি উত্তম’ প্রেক্ষাগৃহে ৫০ দিন পূর্ণ করতে চলেছে। বললেন, ‘‘এখনও হলে ছবিটা রয়েছে। বক্স অফিসে ছবির ব্যবসাও দেড় কোটি টাকা পেরিয়ে ২ কোটি ছুঁতে চলেছে। মানুষের প্রতিক্রিয়ায় আমি অভিভূত।’’
এই মহূর্তে দুটো নতুন হিন্দি ওয়েব সিরিজ়ের কাজে মুম্বইয়ে ব্যস্ত প্রসেনজিৎ। আগামী ৬ মে তিনি কলকাতায় ফিরবেন। জুন মাসে মুক্তি পাবে প্রসেনজিতের পরবর্তী বাংলা ছবি ‘অযোগ্য’।