আদালতে কী আবেদন করলেন পরীমণি? —ফাইল চিত্র।
এক বছরের বেশি সময় পার। বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমণিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার করা হয়। মামলাও শু । এই মাদক মামলায় এ বার নতুন মোড়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ এবং মামলা চূড়ান্ত ভাবে স্থগিত করতে চেয়ে আদলতে আবেদন করলেন অভিনেত্রী। নায়িকার আইনজীবী শাহীনুজ্জামান শাহীন এমনটাই জানিয়েছেন। ৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি এই মামলা ৬ মাস স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পরীমণির বিরুদ্ধে চলছে আরও একটি মামলা। সেই মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। না হলে আবার নতুন করে মামলা শুরু হবে, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
গত ৮ মার্চ নায়িকার বিরুদ্ধে হওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এই আদেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর এমনটাই। ২০২১ সালে পরীমণির বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাঁদের দাবি, নায়িকার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের দামি মদ পাওয়া গিয়েছে, মদের বোতল-সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যও ছিল। যা সেই মুহূর্তে বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। এই অভিযোগে নায়িকাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁকে জামিনে মুক্ত করা হয়। নায়িকা ছাড়াও আরও দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী অফিসাররা।
পরীমণির পক্ষের অনেকেই অবশ্য মনে করছেন, এই সব অভিযোগ মিথ্যা। তাঁদের মতে, ঢাকা ক্লাবকাণ্ডে প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরীমণি ধর্ষণের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ আনায় তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিযোগ, আগের গুরুতর মামলার অগ্রগতি হচ্ছে না, অথচ পরে আনা অনেকাংশেই লঘু মামলায় পরীমণিকে বিচারের নামে হেনস্থা করা হচ্ছে।