‘বজরঙ্গি ভাইজান’ নিয়ে এখন উচ্ছ্বাসে ভাসছে পাকিস্তান। বি-টাউনের বক্স অফিসে প্রথম সপ্তাহেই বাজিমাতের পর এ বার সাফল্যের ঢেউ আছড়ে পড়ল পাকিস্তানেও। বর্ডার পেরিয়েও হাউসফুল ‘ভাইজান’। গল্পের টানে, পারদর্শী অভিনয়ে মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছেন সলমন খান। ছবি দেখতে দেখতে আবেগে কেঁদে ভাসিয়েছেন আম-জনতা। আপাতত পাক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রশংসায় ভাসছে টিম ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। ইদে মুক্তিপ্রাপ্ত পাক ছবি ‘বিন রোয়ে’ এবং ‘রং নাম্বার’কে পিছনে ফেলে বক্স অফিসের যাবতীয় লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছে সল্লু মিঞার ক্যারিশমা।
সলমনের সঙ্গে নিজের ছবিও মুক্তি পাওয়ায় নিজেকে সম্মানিত মনে করছেন ‘রং নাম্বার’-এর নায়িকা সোহাই আলি আবরো। তাঁর কথায়, ‘‘সলমন আমাদের কাছে বিরাট নায়ক। এখানে সকলেই ছবি দেখতে দেখতে কেঁদে ফেলেছেন। যেভাবে ভারত-পাক সম্পর্ককে দেখানো হয়েছে তা এককথায় অসাধারণ।’’ পাক অভিনেতা জাভেদ শেখও এই ছবিটির জন্য পরিচালক কবীর খান ও সল্লু মি়ঞাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সিন্ধ বোর্ড অফ ফিল্ম সেন্সরের চেয়ারম্যান ফকর-ই-আলমের মতে এই ছবির ইউএসপি এর গল্প।
ভারতে ইতিমধ্যেই ২০০ কোটির মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলা ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ প্রথম উইকেন্ডের শেষে করাচি এবং ইসলামাবাদে ৩৮ কোটি টাকা ব্যবসা করেছে। ছবির গল্পে এক মূক-বধির শিশুকে দেশের সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানে তার নিজের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন সলমন। ভারত-পাক মূল সুর গেঁথে রয়েছে চিত্রনাট্যের প্রতিটি অংশে। আর তা ছুঁয়ে গিয়েছে দু’দেশের সিনে-প্রেমীদের হৃদয়।