বাবুল সুপ্রিয়।
মঙ্গলবার ৫০-এ পা দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এমন দিনে যিনি প্রাণ খুলে আশীর্বাদ করতেন তাঁকে, সব থেকে বেশি আনন্দে মাততেন, সেই মা আজ আর নেই!
এই শোক, এই অভাব তিনি ভোলেন কী করে? তাই আরও এক বার নিজেকে উজাড় করে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, ‘জীবন কী ভীষণ নিষ্ঠুর। সোমবার হরিদ্বারে মায়ের শেষ কাজ করলাম। পরের দিনই আমার জন্মদিন!’
বেশ কিছু দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বাবুলের মা সুমিত্রা বড়াল। ১০ ডিসেম্বর তিনি চলে গিয়েছেন না-ফেরার দেশে। এ কথা আজও কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বাবুল। গায়ক-অভিনেতার কথায়: ‘অনেক বন্ধু, কাছের মানুষ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকেই খবর পাননি আমি মাতৃহারা। ওঁরা প্রতি বছরের মতোই ভালবেসে শুভকামনা করেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ সবাইকে। কিন্তু এই প্রথম আমার জন্মদিনে মা পাশে নেই। আজকে আমার আকাশ তাই নক্ষত্রহীন, কালো।’
১৯৭০-এর ১৫ ডিসেম্বর জন্ম বাবুলের। তাঁর অনেক বন্ধুই ইতিমধ্যে জীবনের হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা অল্প মজাও করেছেন বাবুলের বয়স নিয়ে। কাছের জনদের সেই রসিকতাও আজ হাসি ফোটাতে পারেনি প্রতিমন্ত্রীর মুখে। বরং তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, মায়ের অভাবে তাঁর মতো শক্ত মনের মানুষের জীবনও একদম এলোমেলো!
আরও পড়ুন: গৌরব-দেবলীনার খুশিতে সামিল টলিউড, কেমন চলছে রিসেপশন পার্টি
‘নিজেকে ভীষণ শক্ত মনের মানুষ বলে জানতাম। আজ দেখছি, একদম ভুল আমি। মা চলে গিয়েছেন। আমি টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে গিয়েছি।’
আজকের দিনে সবার কাছে বাবুলের একটাই চাওয়া, ‘যাঁরা শুভেচ্ছা জানাননি, প্রার্থনা করেননি আমার জন্য, একটা জিনিস চাইবেন? আমি যেন আবার উঠে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাই। আমি যেন আবার একটু একটু করে এগিয়ে যেতে পারি। মুখোমুখি হতে পারি বাইরের দুনিয়ার... যে দুনিয়ায় প্রথম হাঁটতে শিখিয়েছিলেন আমার মা। যে দুনিয়ায় আর আমার মা নেই।’
আরও পড়ুন: সুশান্তের শেষ পরিচালক বানাচ্ছেন ধ্যানচাঁদের বায়োপিক