প্রতিবাদী বাবুল সুপ্রিয়। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার নিশানায় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের প্রথম পরিচয়, তিনি গায়ক। পেশার তাগিদে সম্প্রতি পুজোর গান রেকর্ডিং করেন তিনি। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে যথারীতি মন্তব্যের বানভাসি। স্বাভাবিক ভাবেই গায়ক-মন্ত্রী পাল্টা প্রতিবাদ জানাতে সমাজমাধ্যমকেই বেছে নিয়েছেন। নিন্দকদের উদ্দেশে লিখেছেন, “যদি আপনার কাছে তাঁর নম্বর থাকে তা হলে তাঁকে একটি হোয়াট্সঅ্যাপ পাঠান। নম্বর না থাকলে বুঝতে হবে, তাঁর সম্পর্কে মতামত জানানোর মতো যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন আপনি। চেনাজানাও নেই। তাই কুমন্তব্য বা খারাপ কথাই লিখতে পারেন সেই অভিযুক্ত।”
প্রতিবাদের পাশাপাশি পুজোর গান, পুজোর কাজ নিয়ে প্রচারের কারণে ইতিমধ্যেই কটাক্ষে জেরবার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, শিলাজিৎ, দেব-সহ অনেকেই। স্বস্তিকা যদিও ইতিমধ্যেই জবাব দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। লিখেছেন, “খালি পেটে বিপ্লব হয় না, সাথী! ভাতের জন্যও লড়তে গেলে ভাতের স্বাদ জানতে হয়। তাই যদি বেঁচে থাকার পন্থাকে আপনারা নিন্দা করতে শুরু করেন, তা হলে খুনের জন্য বিচার চাওয়াটা হিপোক্রেসি নয় কি?” সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল বাবুলের সঙ্গে। তাঁকে পাওয়া যায়নি। একই ভাবে অধরা তাঁর আপ্তসহায়কও। যদিও সমাজমাধ্যমে স্বস্তিকার বক্তব্যের ছায়া বাবুল সুপ্রিয়ের লেখায়। তিনিও লিখেছেন, “জমাদার কাজ না করলে আমরা পরিচ্ছন্ন, সুস্থ শহর পাব না। তেমনই দুধওয়ালা বা ডেলিভারি বয় না থাকলে সারা দিনের পরিশ্রমের পর আমরা প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে পেতাম না। একই ভাবে বিনোদন দুনিয়ার শিল্পীদের কাজের উপর নির্ভর করে থাকেন ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেক মানুষ। তাই শিল্পী বা অভিনেতারা কাজ না করলে, শো বন্ধ করে দিলে তাঁদের উপার্জনও বন্ধ হয়ে যাবে।”
তাঁর দাবি, তিনি পুজোর গান রেকর্ড করে কোনও ভুল করেননি। কারণ, তিনি এই কাজটির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর অনুরোধ, বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের যেন অকারণ ‘সফ্ট টার্গেট’ না বানানো হয়। আদতে এ ভাবে সমাজমাধ্যমের অপব্যবহার করছেন সকলে। কারণ, তাঁরা মন থেকে আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চান। অপরাধীর পাশাপাশি যাঁরা অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, প্রত্যেকের চরমতম শাস্তি চান।