লতা মঙ্গেশকর কোনও মতেই প্রথম নন! ভারতের সেরা প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে প্রথমে থাকছেন আশা ভোঁসলেই! লতার জায়গা দু’নম্বরে। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্র হালফিলে এই তথ্যই জানাল। তাদের মতে, বলিউডে আশা ‘গ্রেটেস্ট’! এবং, খবরটা পেয়ে বেশ অবাকই হলেন আশা। তাঁর বয়ানে সাফ ধরা দিল সেই বিস্ময়ের রেশ।
এত দিন পর্যন্ত দুই বোনের মধ্যে কে দক্ষ গায়িকা, তা নিয়ে কম ঝড় ওঠেনি। ভক্তেরা যে যাঁর মতো গলা চড়িয়েছেন প্রিয় গায়িকার স্বপক্ষে। বলিউডের দুঁদে সুরকারেরাও এ ব্যাপারে ভাগ হয়ে গিয়েছেন লতা-আশা দুই শিবিরে। রাহুল দেব বর্মণের মতো বিচক্ষণ সুরকারও এ ব্যাপারে আলো ফেলতে পারেননি। অল ইন্ডিয়া রেডিওর এক অনুষ্ঠানে এক বার জানিয়েছিলেনও তিনি সেই কথা। বলেছিলেন, তাঁর মতে, আশাকে দিয়ে যে কোনও গান গাওয়ানো যায়। কিন্তু, কিছু গান আবার লতা ছাড়া হয় না!
রাহুল দেব বর্মণের এই বয়ান সে দিন চুপ করে শুনেছিলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত আশা। কিছু বলেননি। এ বার অবশ্য ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘ইস্টার্ন আই’-এর খবরটা পেয়ে নড়েচড়ে বসলেন বর্ষীয়ান গায়িকা। এবং আলতো করে ছুঁড়ে দিলেন একটা প্রশ্ন— গান আর কুস্তি এক হয়ে যাচ্ছে না কি? নইলে গানের জগতে হুটহাট সেরার শিরোপার বিচার হয় কী করে!
আশা বলেছেন, “আমার মতে এই সেরা তকমাটায় একমাত্র অধিকার ছিল বক্সার মহম্মদ আলির! যাই হোক, ‘ইস্টার্ন আই’ এবং সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত দিন ধরে আমায় সহ্য করে যাওয়ার জন্য!”
‘ইস্টার্ন আই’ অবশ্য এই তালিকা তৈরি করেছে গানের সংখ্যা, সম্মান, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং জনপ্রিয়তার নিরিখে। সেই বিচারে লতা মঙ্গেশকর যেমন রয়েছেন দু’ নম্বরে, তেমনই তিন এবং চার নম্বর জায়গায় স্থান পেয়েছেন যথাক্রমে মহম্মদ রফি আর কিশোর কুমার। পাঁচ নম্বরে রয়েছেন মুকেশ। গীতা দত্ত রয়েছেন দশে! আর তাঁকে পেরিয়ে সাত নম্বর জায়গাটা দখল করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল!
এ ব্যাপারে সংবাদপত্রটির সম্পাদক আসজাদ নাজির কী বলছেন? তিনিই তো তৈরি করেছেন এই সেরার তালিকা। নাজির বলছেন, “এক নম্বর জায়গাটা নিঃসন্দেহে আশারই প্রাপ্য! ওঁর মতো ভার্সেটাইল গায়িকা আবার হয় না কি?”