(বাঁ দিকে) মালাইকা অরোরা। অর্জুন কপূর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সহজ হচ্ছে না জীবন বয়ে নিয়ে চলা! অর্জুন কপূরের কথায় কি সেই ইঙ্গিতই মিলছে?মালাইকার সঙ্গে প্রেম ছিল প্রায় ছ’বছর। এখন সেই সম্পর্ক আর নেই। দিন কয়েক আগে নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন অর্জুন। এত দিন তাঁরা ছিলেন অভিন্নহৃদয়। ছুটিতে ভ্রমণ হোক বা কোনও ফিল্মি অনুষ্ঠান, একসঙ্গে দেখা যেত জুটিকে। কিন্তু সেই জুটি ভেঙে গেল।
প্রেম ভাঙার কষ্ট তো রয়েছেই। একই সঙ্গে রয়েছে অর্জুনের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তা। বেশ কয়েক বছর পরে সিনেমায় সাফল্য পেলেন অভিনেতা। ‘সিংহম আগেন’ ছবিতে খলচরিত্রে দর্শকের প্রশংসা পাচ্ছেন অর্জুন। কিন্তু তত দিনে ব্যক্তিজীবন যেন ওলটপালট তাঁর। একে ‘হাসিমটো’ রোগে আক্রান্ত, তার উপর অবসাদ জাঁকিয়ে বসছে।
সব কিছু একসঙ্গে সামাল দিতে গিয়ে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন অভিনেতা।
প্রায় ৩০ বছর বয়স থেকে অর্জুনের ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে। তবে শুধু এই একটা উপসর্গই নয়, একাকিত্ব ও অবসাদেও রয়েছেন অর্জুনের। ঘন ঘন মনোবিদের কাছে যেতে হচ্ছে তাঁকে। আসলে অবসাদটা ছোটবেলা থেকেই রয়েছে অর্জুনের। ছোট থেকেই ওজন বেশি হওয়ায় বার বার থেরাপি নিতেন অভিনেতা। পরে অবশ্য বক্স অফিস যখন ছবি ব্যর্থ হতে শুরু করে তখন ফের অবসাদে চলে যান অর্জুন। এর পর পরই প্রেম ভাঙে মালাইকার সঙ্গে। ঘুম আসে না! কাজে যাওয়া দুঃসাধ্য। তাই নিজে থেকেই মন ভাল করার চেষ্টা করছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘আসলে এটা এত কষ্টকর হবে বুঝিনি। সময় লাগে। রাতে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া, ফের সকালে কাজে যাওয়াটা সোজা নয়।’’