অর্জুন কপূর ও মালাইকা অরোরা। ছবি: সংগৃহীত।
মাস খানেক ধরে বলিউড সরগরম জনপ্রিয় এক জুটির বিচ্ছেদের গুঞ্জনে। মালাইকা অরোরা ও অর্জুন কপূরের সম্পর্কে নাকি চিড় ধরেছে। শুধু তাই-ই নয়, খবর মেলে, মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই নাকি সমাজমাধ্যমের প্রভাবী কুশা কপিলার প্রেমে পড়েছেন বনি কপূরের পুত্র। এই সব কানাঘুষোর মাঝে অর্জুনের পরিবারের একাধিক সদস্যকে সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘আনফলো’ করে দেন মালাইকা। তাতেই সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে আরও বাড়তে থাকে সন্দেহ। অগস্ট মাসের শেষের দিকে বিচ্ছেদের সেই জল্পনা ধামাচাপা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টাও করেন মালাইকা ও অর্জুন। এক রবিবার দুপুরে মালাইকাকে সঙ্গে নিয়ে লাঞ্চ ডেটে গিয়েছিলেন বনি-পুত্র। সেই দিন রাতেই ফের ডিনার ডেটেও দেখা যায় যুগলকে। তার পরে ফের মাস খানেকের বিরতি। গোটা সেপ্টেম্বর মাসে এক বারও একসঙ্গে দেখা যায়নি যুগলকে। অক্টোবর পড়তেই ফের এক ফ্রেমে মালাইকা ও অর্জুন। এক ফ্রেমে ধরা দিলেও প্রেমে কি আদৌ আছেন তাঁরা? দুই তারকার সাম্প্রতিক ছবি দেখে প্রশ্ন নেটাগরিকদের।
রবিবার রাতে মুম্বইয়ে টেনিস প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম সিজ়নের জন্য খেলোয়াড়দের নিলামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালাইকা ও অর্জুন। অন্যান্য সময় ডেটে গেলে যেমন সাজপোশাক থাকে মলাইকার, তার থেকে একেবারেই আলাদা দেখাচ্ছিল তাঁকে। নিলামের অনুষ্ঠানে টেনিস প্রিমিয়ার লিগেরই একটি দলের জার্সি পরেছিলেন মালাইকা। অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর সময় যদিও জার্সি বদলে নিজের একটি টিশার্ট পরে নেন তিনি। অন্য দিকে, অর্জুনের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অনুষ্ঠানে জার্সি ও সেখান থেকে বেরোনোর পথে নিজের একটি সোয়েটশার্ট পরেছিলেন অভিনেতা। মালাইকা ও অর্জুন এক ফ্রেমে ধরা দিলেও তাঁদের শরীরী ভাষা থেকে স্পষ্ট, একে অপরের কাছাকাছি থেকেও খুব একটা স্বচ্ছন্দ নন তাঁরা। তবে কি সত্যিই প্রেম ভেঙেছে? স্রেফ পেশাদারিত্বের জায়গা থেকেই এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা? কানাঘুষো তেমনটাই।
১৯৯৮ সালে সলমন খানের ভাই আরবাজ় খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন মালাইকা। ২০১৬ সালে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। ১৮ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন আরবাজ় ও মালাইকা। তার বছর দুয়েকের মধ্যে নতুন করে প্রেমে পড়েন মালাইকা। বয়সে ১২ বছরের ছোট, বলিউড অভিনেতা অর্জুন কপূরের সঙ্গে তাঁর সমীকরণ তত দিনে বলিপাড়ার অন্দরের ‘ওপেন সিক্রেট’। ২০১৯ সালে শেষ পর্যন্ত সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজেদের সম্পর্কে সিলমোহর দেন মালাইকা ও অর্জুন।