টিকটিক ভিডিয়োয় এই প্রথম অকপট স্বীকারোক্তি। ‘ফেঁসে গেছি আমি অকালে’! আক্ষেপের কি এখানেই শেষ 'শ্যামা তিয়াসা রায়ের? ফাঁস করেছেন, ‘একটা জুটে গেছে কপালে!’
এ ভাবে মুখ খোলার পর থেকেই হুলুস্থূল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিন দুই আগেই ধুমধাম করে পালন করলেন তিন বছরের বিবাহবার্ষিকী। তার পরেই এ কী কথাবার্তা!
তাহলে কি কোনও গণ্ডগোল?
একেবারেই না। স্বামী সুবানের সঙ্গে সুখে ঘরকন্না করছেন তিনি। সময় পেলেই টিকটিক ভিডিয়ো বানিয়ে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিয়াসা। ‘কৃষ্ণকলি’র দৌলতে তাঁর অগুনতি ফ্যান ফলোয়ার্স । দেখতে দেখতে প্রায় প্রতিটি ভিডিয়োই ভাইরাল। এটাও সেই রকমই।
নিন্দে মন্দ করার পাশপাশি তিয়াসা কিন্তু সুবানের প্রশংসাও করেছেন ‘দেখতে হ্যান্ডসাম’ বলে। তার পরেই ফের অনুশোচনা ‘একটা ফ্যালারাম’!
২০১৭-র অক্টোবরে তাঁরা ‘ম্যারেড কাপল’ হয়েছিলেন। এই দিন মনে রেখে এ বছরে নীলাম্বরী শাড়ি,গা ভরা গয়নায় শ্যামা মোহময়ী। সুবানও সেজেছিলেন একই রঙের পাঞ্জাবিতে। মালা বদল, তিন ডেকারের কেক কাটা,সব করেছেন তাঁরা।
A post shared by Tiyasha Lepcha (@tiyasha.lepcha_fc) on
অথচ, তিয়াসা যখন ‘কৃষ্ণকলি’ মেগায় ‘শ্যামা’ হিসেবে খ্যাতি পাচ্ছেন তখনই বিয়ে প্রায় ভাঙতে বসেছিল তাঁদের। টেলিপাড়ায় গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, তিয়াসাকে নাকি মানসিক নির্যাতন করেন সুবান। অভিনেত্রীর রোজগারের মোটা অংশ দিতে হয় শ্বশুরবাড়িকে। উঠতে বসতে যথেষ্ট শাসনও নাকি করেন।
বিবাহবিচ্ছেদের কথাও নাকি বছর দুয়েক আগে ভেবেছিলেন তিয়াসা। স্বামী, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। পরে যদিও পুরোটাই জল্পনা এবং গুজব বলে উড়িয়ে দেন ‘শ্যামা’ ওরফে তিয়াসা রায়।