Federation vs Aparna Sen

‘আমি তো বছর বছর ছবি বানাই না যে এ সব নিয়ে মাথা ঘামাব’! দেরিতে বোধোদয় নিয়ে অপর্ণা সেন

“আমি নিজে কোনও দিন ছবি প্রযোজনা করিনি বলে ফেডারেশনের দিকটা খতিয়ে দেখার অবকাশও হয়নি এ পর্যন্ত। আর আমি তো বছর বছর ছবি বানাই না, যে এ সব নিয়ে মাথা ঘামাব।”

Advertisement

অপর্ণা সেন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:০৩
Share:

অপর্ণা সেন। ছবি: সনৎ সিংহ।

শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে ফেডারেশনের কিছু চিঠিপত্র। তার পরেই কিছু প্রশ্ন আমার মনে এসেছিল। সেটি আমি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিই। তার পর দেখি, পোস্টটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল। জানতে চেয়েছিল, ফেডারেশনের একুশে আইন এবং ফেডারেশন সভাপতির বিরুদ্ধে বহু জনের বহু অভিযোগ। সাম্প্রতিক উদাহরণ, হেয়ার ড্রেসার গিল্ডের সদস্য এক কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টা। সেই জায়গা থেকেই আনন্দবাজার অনলাইন আমার কাছে প্রশ্নগুলি রেখেছিল।

Advertisement

এ বার আমার জবাবের পালা। আমার মতে, একদমই তাই। যিনি প্রোডাকশন দেখছেন, ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ সাধারণত তিনিই রাখেন। প্রযোজকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ছবির ক্রিয়েটিভ দিকটাই দেখেছি সব সময়। আমি নিজে কোনও দিন ছবি প্রযোজনা করিনি বলে ফেডারেশনের দিকটা খতিয়ে দেখার অবকাশও হয়নি এ পর্যন্ত। মাঝেমাঝে প্রোডাকশন থেকে হয়তো বলা হয়েছে, আরও দু’জন সহকারী পরিচালক নিতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রোডাকশন থেকেই তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, আমাকে বলাও হয়নি। আমি আমার দু’-তিন জন রেগুলার সহকারী পেয়েই নিশ্চিন্তে কাজ করেছি।

অনেক বছর হল, আমার ছবির বাজেটও আমি নিজে করি না। শুধু কত দিনের শুটিং হবে, ক্যামেরাম্যান, এডিটর, শিল্প বা সঙ্গীত নির্দেশক হিসেবে কাকে কাকে লাগবে, কোন চরিত্রে কোন অভিনেতাকে চাই বা বিশেষ কোনও যন্ত্রপাতি কিংবা আলো লাগবে কি না— এগুলোই বলে দিয়ে আমি শট ডিভিশন, লোকেশন বাছাই, অভিনেতাদের ওয়ার্কশপ, এই সব কাজে মন দিই। কখনও কিছু বলতে গেলে বরং প্রযোজকের কাছে শুনতে হয়েছে, “ও সব আপনাকে ভাবতে হবে না দিদি, আপনি মন দিয়ে ছবিটা বানান তো!”

Advertisement

আর আমি তো বছর বছর ছবি বানাই না, যে এ সব নিয়ে মাথা ঘামাব!

ইদানীং ডিরেক্টর্স গিল্ডের সঙ্গে ফেডারেশনের বিরোধের ব্যাপারে কিছু কথাবার্তা কানে আসছিল, ফেসবুকে দু’-একটা পোস্ট দেখছিলাম, আমাকে কেউ কিছু জানানওনি পরিচালকদের সংগঠন থেকে। হেয়ার ড্রেসারের আত্মহত্যার প্রচেষ্টা ও তার প্রাক্‌-ইতিহাসের ব্যাপারে খুব সম্প্রতি জেনেছি সুদীপ্তা-বিদীপ্তা-চৈতী-অনন্যা-সাবর্ণী প্রমুখ ডব্লিউএফএসডব্লিউ প্লাস-এর সদস্যদের থেকে। যে সদ্যগঠিত সংস্থার আমিও একজন সক্রিয় সদস্য। তার পর গত কাল এক পরিচালক আমাকে পরিচালক সংগঠনের একটি ফেসবুক পোস্ট ফরোয়ার্ড করেন। যা পড়ে যুক্তিসঙ্গত প্রশ্নই তুলেছি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement