বিরাটের সঙ্গে অনুষ্কা।
সদ্য একদিনের অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছে বিরাট কোহলীকে। পেশাগত জীবনে খানিক কঠিন সময়। তবে পাশে আছেন স্ত্রী অনুষ্কা। ঠিক যে ভাবে থাকার কথা, সে ভাবেই। শনিবার, চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর দিনে সে কথাই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে মনে করিয়ে দিয়েছেন বলিউড নায়িকা। প্রেমের চিঠি লিখেছেন বিরাট-ঘরণী।
বিরাটের প্রিয় গানের পংক্তি দিয়ে শুরু হয়েছে চিঠি। বাংলায় যার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘ঘরে ফেরার কোনও সহজ রাস্তা নেই।’
এর পরেই অনুষ্কা লিখেছেন, ‘এই গান তোমার প্রিয়। এই গানের শব্দগুলোকে সম্বল করেই তুমি বেঁচে থেকেছ। এই গানের কথা সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব সত্যি। আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ। প্রয়োজনে আমার কথা শোনার জন্য হৃদয়ের দরজা খুলে রেখেছ, ধন্যবাদ।’ অনুষ্কার সংযোজন- ‘যে বিশ্ব স্রেফ ধারণার উপর ভিত্তি করে চলে, সেখানে তোমার মতো মানুষ হতে গেলে প্রচণ্ড সাহসের দরকার। সমানে সমানে বিয়ে তখনই সম্ভব যখন দু'জনেই একটা নিরাপদ জীবনে দাঁড়িয়ে। আর তুমি আমার দেখা সবচেয়ে সুরক্ষিত ও নিরাপদ মানুষ।”
স্বামীর প্রশংসা করে 'রব নে বনা দি জোড়ি'র নায়িকা বলেছেন, ‘তাঁরা সত্যিই ভাগ্যবান, যাঁরা তোমাকে কাছ থেকে চেনেন। তোমাকে নিয়ে যে সব ধারণা প্রচলিত আছে, তার বাইরে গিয়ে জানেন তোমাকে। সব সাফল্যের আড়ালে তোমার মনকে চিনতে হবে। এ ভাবেই যেন ভালবাসা, সততা, শ্রদ্ধা আর বিশ্বস্ততা আমাদের পথ দেখায়।’
অনুষ্কাকে এই ভালবাসা ফিরিয়ে দিয়েছেন বিরাট। স্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘চার বছর ধরে তুমি আমার বোকা বোকা মজা আর আলস্য সহ্য করছ। চার বছর ধরে আমাকে আমার মতো করে মেনে নিয়েছো। যতই বিরক্ত হই না কেন, আমাকে ভালবেসেছ। চার বছর ধরে ঈশ্বর আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। সব থেকে সৎ, সাহসী মহিলাকে আমার বিয়ে করার আজ চার বছর। সারা পৃথিবী আমার বিরুদ্ধে চলে গেলেও সত্যের পথে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছ। আমাদের বিয়ের চার বছর। সব দিক দিয়ে তুমি আমাকে পরিপূর্ণ করেছ। সারা জীবন নিজের সবটা দিয়ে তোমাকে ভালবাসব। আজকের দিনটা বেশি স্পেশ্যাল, কারণ পরিবার হিসেবে এটাই আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। এই ছোট্ট শিশুর জন্য জীবন আজ পরিপূর্ণ।’
২০১৭ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বিরাট-অনুষ্কা। গত বছর তাঁদের জীবনে এসেছে মেয়ে ভামিকা। বর্তমানে পেশাগত জীবনে খানিক ধূসর হলেও পরিবারকে নিয়ে বর্ণিল সময় কাটছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের।