(বাঁ দিকে) মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অনন্য মামুন (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।
দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়া। মোস্তাফা সারওয়ার ফারুকী, নুসরত ইমরোজ় তিসা, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আজ়মেরি হক বাঁধন, আফরান নিশোর মতো ব্যক্তিত্ব সমাজমাধ্যমে নিজেদের মত প্রকাশ করছেন অনবরত। কখনও দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানাচ্ছেন। কখনও দ্রুত প্রশাসনিক পরিকাঠামো গঠনের আর্জি জানাচ্ছেন। এরই মধ্যে বুধবার পরিচালক অনন্য মামুন সে দেশে প্রেক্ষাগৃহ ভাঙচুরের ছবি ভাগ করে নিলেন। সেই ছবি দিয়ে বিবরণীতে পরিচালকের হাহাকার, “আমার দেশের চলচ্চিত্র যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই এত বড় আঘাত!” খবর, চলতি মাসে নাকি তাঁর আগামী ছবি ‘দরদ’-এর মুক্তির কথা ছিল। তার আগে দেশের শাসনব্যবস্থা বদলে যাওয়ায় তাঁর ছবি-সহ অন্যদের ছবিমুক্তি আপাতত স্থগিত।
অনন্যের ভাগ করা ছবি অনুযায়ী, শুধুই ঘরবাড়ি, দোকানপাটে ভাঙচুর, লুটতরাজ চলছে না। একই অঘটন ঘটেছে স্থানীয় প্রেক্ষাগৃহেও। তিনি বিবরণীতে লিখেছেন, “রাজশাহী হাইটেক পার্কে ৫ অগস্ট সারা রাত লুটপাট হয়েছে, সিনেপ্লেক্স ভেঙে চুরমার! ওয়াশরুমের কমোড, পানির ট্যাপটাকেও ছাড়েনি। শুনেছি সিরাজগঞ্জের রুটস্ সিনেপ্লেক্সও লুটপাট করা হয়েছে।” সেই ছবির পরিচালককে প্রচণ্ড আঘাত করেছে। তাঁর মতে, এই ধরনের আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হয়েছে বলেই ছবি দেখার জন্য নতুন দর্শক আসতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের পরিচালকেরাও বড় বাজেটের ছবি বানানোর স্বপ্ন দেখছেন। তাই তিনি লিখছেন, “সকলকে অনুরোধ করব, চলচ্চিত্র বাঁচাতে হলে প্রেক্ষাগৃহ বাঁচাতে হবে।” প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সে দেশে আপাতত মুক্তি পাচ্ছে না সৃজিত মুখোপাধ্যায়র ‘পদাতিক’। মৃণাল সেনের জীবন থেকে তৈরি ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। কথা ছিল ১৫ অগস্ট ভারতে মুক্তির পর ১৬ অগস্ট বাংলাদেশে ছবিটি মুক্তি পাবে।
আর এক পরিচালক ফারুকীও নিজের দেশের শাসনব্যবস্থার আশু উন্নতি চান। সমাজমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য, “আপনারা দয়া করে দ্রুত সরকার গঠন করুন। এবং পুলিশবাহিনীকে (কিছু অপরাধী অফিসার বাদে) আশ্বাস দিন, তাঁদেরকে কাজে নামান দ্রুত! তাঁরা আমাদেরই বাহিনী। মিলিটারি ভাইয়েরা, সার্বিক নিরাপত্তার দিকে নজর রাখুন। দেশটা দ্রুত স্বাভাবিক করার দিকে এগিয়ে যাই চলুন।” তাঁর মতে, নষ্ট করার মতো এক মুহূর্তও সময় নেই।