‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ নিয়ে কথা বললেন শিল্পীরা।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনা মানেই একাধিক ইউএসপি। সৃজিত মুখোপাধ্যায় মানেই ইদানীং অনির্বাণ ভট্টাচার্য,এমন সমীকরণ যেন তৈরি হয়ে গিয়েছে।
সেটা বড় পর্দা হোক বা তাঁর প্রথম থ্রিলার ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’। সিরিজের নাম যেমন আকর্ষক, চরিত্রাভিনেতা নির্বাচন ঘিরেও রয়েছে অনেক গপ্পো। সেই সব কথা ২৪ ডিসেম্বর পরিচালক প্রকাশ্যে আনলেন এসভিএফ দফতরে। সেই আড্ডায় দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার। আড্ডায় পরিচালকের সঙ্গে ছিলেন দুই অনির্বাণ। অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং অনির্বাণ চক্রবর্তী। এ ছাড়াও ছিলেন রাহুল বোস, বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন।
কীভাবে সিরিজের অভিনেতাদের বাছলেন সৃজিত? কে, কোন চরিত্রে অভিনয় করছেন? পরিচালক কি দুই অনির্বাণের প্রেমেই হাবুডুবু খাচ্ছেন?
বাংলাদেশের লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের লেখা থ্রিলারধর্মী উপন্যাসকে ভিত্তি করে তৈরি এই সিরিজ়ে প্রথম যুগলবন্দি রাহুল বোস আর সৃজিতের। যার গল্প অনেকটাই এ রকম, ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ আসলে সুন্দরপুরের এক রেস্তরাঁর নাম। মুশকান জুবেরি (আজমারি হক বাঁধন) রেস্তরাঁর মালকিন। যাঁর হাতের সুস্বাদু খাবার রেস্তরাঁর ইউএসপি বলা যেতে পারে। তবে সমস্যা এই যে, এ রেস্তরাঁয় অনেকে খেতে এসে নিখোঁজ হয়ে যান।
আরও পড়ুন: কখনও চিৎকার, কখনও কান্না! ভূত ধরেছে রাখী সবন্তকে!
রাহুল-সৃজিত দু’জনেই জানিয়েছেন, তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন।
শুরুতেই সৃজিতের আক্ষেপ, প্রথম বার উপন্যাস পড়ার পরে তাঁর খুব ইচ্ছে হয়েছিল, বাংলাদেশের অভিনেতাদের নিয়ে কাজ করবেন। পুরোটাই শ্যুট হবে ওপার বাংলায়। সেই মতো বাঁধনের পাশাপাশি প্রধান চরিত্র ‘আতর আলি’র জন্য বেছেছিলেন চঞ্চল চৌধুরীকে। ভেবেছিলেন ফজলুর রেহমান বাবুর কথাও। বাদ সেধেছে অতিমারি। ফলে, ‘আতর আলি’ অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তদন্তকারী অফিসার রাহুল বোস (নিরুপম চন্দ)। ‘তপন শিকদার’ চরিত্রে অনির্বাণ চক্রবর্তী। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন অঞ্জন দত্ত। অঞ্জনের চরিত্রটি যদিও পরিবর্তিত।
শ্যুটিং হবে এ দেশেরই নানা জায়গায়।
আড্ডা মানেই মনের কথা উপুড় করার উপযুক্ত জায়গা। সৃজিতও খোলা মনে জানিয়েছেন, ‘মুশকান জুবেরি’র জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিল পাওলি দাম। শেষ মুহূর্তে ডেটের সমস্যা হওয়ায় পাওলির জায়গায় বাঁধন আসেন। কারণ, পরিচালকের মনে হয়েছিল জয়া আহসান বা পরিমণি এই চরিত্র ঠিকঠাক ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের কোলে বসে অঙ্কিতা লোখান্ডে, নেটাগরিকদের কোপে অভিনেত্রী
অভিনেতাদের প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, নরমে গরমে শাসন করে কী ভাবে সবার থেকে কাজ আদায় করে নিয়েছেন সৃজিত। অনির্বাণ ভট্টাচার্যের দাবি, সাত বার সাত রকমের চরিত্র তাঁকে উপহার দিলেন ‘মেন্টর’। সঙ্গে সঙ্গে পরিচালকের পাল্টা যুক্তি, অনির্বাণ তাঁর টিমের ‘রাহুল দ্রাবিড়’। যে কোনও চরিত্রে চমৎকার মানিয়ে যান।