ঐন্দ্রিলা এবং অঙ্কুশ।
উদ্দেশ্য নতুন ছবির প্রচার। অনুরাগীদের সামনে পুজো-মুক্তি ‘এফআইআর’ ছবির নতুন চরিত্র ‘অভ্রজিৎ দত্ত’কে তুলে ধরা। তার জন্যই সারা দিন-রাত প্রচুর খাটতে হল অঙ্কুশ হাজরা ওরফে ‘অভ্রজিৎ দত্ত’কে! আনাজ কাটা, রান্না করা, বাসন মাজা তো আছেই। হাড়ভাঙা খাটুনির পরে রাতে যে নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন, তার যো নেই! তখনও ঐন্দ্রিলা সেনের পা টিপে ঘুম পাড়াতে হয় তাঁকে। সকালে কাজে বেরনোর আগে তাঁকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম সেরে আশীর্বাদ নিয়ে তার পর বাইরে পা রাখেন লালবাজার বিশেষ শাখার গোয়েন্দা অভ্রজিৎ ওরফে অঙ্কুশ। এবং সমস্তটাই ঐন্দ্রিলা প্রচারের খাতিরে অঙ্কুশকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন পিঠে বন্দুক ঠেকিয়ে!
বিশ্বাস হচ্ছে না? অভিনেতার ইনস্টাগ্রামের টাটকা ভিডিয়োটি দেখে নিন। রবিবার রাতের ঝলক বলছে, বাইরে তিনি লালবাজার বিশেষ শাখার দোর্দণ্ডপ্রতাপ আধিকারিক অভ্রজিৎ দত্ত। তাঁকে সমীহ করে চলেন সহকর্মীরাও। সেই তিনিই বাড়ি ফিরে ঐন্দ্রিলার ভয়ে কাবু! ঘরে ঢুকেই সবার আগে তাঁকে পিস্তল তুলে দিতে হয় প্রেমিকার হাতে। তার জোরেই অঙ্কুশের উপর দাদাগিরি চালান অভিনেত্রী। সারাক্ষণ পিস্তল আর মোবাইল নিয়ে পাহারা দেন অভিনেতাকে। পান থেকে চুন খসলেই মোবাইলের বদলে তাঁর হাত চলে যায় পিস্তলের দিকে। সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ফের ছন্দে ফেরেন অঙ্কুশ!
বন্ধ দরজার পিছনে সত্যিই এ সব ঘটে? অতি সম্প্রতি অঙ্কুশ এ সবই করেছেন তাঁর আগামী ছবি ‘এফআইআর’-এর ‘অভ্রজিৎ দত্ত’ চরিত্রটির প্রচারের খাতিরে। তারকা যুগলের প্রধান বৈশিষ্ট্য, সময় বুঝে নিক্তি মেপে হাস্যরস পরিবেশন করতে পারেন। সেই বিশেষ গুণ কাজে লাগিয়েই তৈরি বিশেষ ঝলক। এই অভিনব প্রচার দেখে যথারীতি প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগীরা। দিন তিনেক আগে একটি ভিডিয়ো বার্তায় অঙ্কুশ বলেছিলেন, ‘‘আমাদের তৈরি একটি বিশেষ ঝলক নিয়ে খুব শিগগিরি হাজির হচ্ছি আমরা।’’ জানিয়েছিলেন, ছবিতে অভিনয় না করেও এই প্রচার ভিডিয়ো তৈরি করতে ঐন্দ্রিলা তাঁকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। রবিবার সেটিই প্রকাশিত হয়।
ছবিতে অঙ্কুশের সঙ্গে আছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী, বনি সেনগুপ্ত, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং ফালাক রাসিদ রায়। অভিনেতা-পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গল্প এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত। রঘুনাথপুর গ্রামের রাজনীতি, দুর্নীতির অন্ধকার সরিয়ে আলোর সন্ধান দেবে এই ছবি। গ্রামে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটতে থাকায় কলকাতা থেকে পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে আসা হয়। তার পরেই শুরু রোমাঞ্চ। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পর সব রহস্যের সমাধান করে হত্যাকারীকে খুঁজে বার করে শাস্তি দেবেন অঙ্কুশ ওরফে ‘অভ্রজিৎ দত্ত’।