অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
মুকেশ ছাবড়া। বলিউডের অন্যতম কাস্টিং ডিরেক্টর। যিনি এক যুগেরও বেশি সময় রুপোলি পর্দায় হাজির করেছেন নতুন মুখ, নতুন প্রতিভা। সম্প্রতি, অনির্বাণ ভট্টাচার্যও বলিউডে পা রেখেছেন এই মুকেশ ছাবড়ার হাত ধরেই। ‘চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে তিনি খলনায়ক! নায়িকা রানি মুখোপাধ্যায়। শনিবারের আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডায় কথা প্রসঙ্গে পরিচালক-অভিনেতা মনে করলেন সেই বিখ্যাত কাস্টিং ডিরেক্টরকে। তিনি জানান, সারা দেশে প্রতিভার সন্ধান করেন মুকেশ। তাঁর কোনও অভিনেতা গোয়ালিয়রের, তো কেউ ছাপড়ার বাসিন্দা।
‘মন্দার’ ওয়েব সিরিজের সৌজন্যে অভিনেতা অনির্বাণ এখন পরিচালক। ‘ম্যাকবেথ’-এর রাজ পরিবার এই সিরিজে গেইলপুরের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়। চিত্রনাট্যের সঙ্গে মিলিয়ে পরিচালক তুলে নিয়ে এসেছেন এমন এক ঝাঁক অভিনেতাদের, যাঁদের প্রতিভায় চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে বাঙালি দর্শকের।
'মন্দার’-এর ‘মুকেশ ছাবড়া’ কি স্বয়ং অনির্বাণ? যাঁর হাত ধরেই জনপ্রিয় এক ঝাঁক নতুন মুখ? আড্ডার ছলে নব্য পরিচালক স্বীকার করে নিয়েছেন, এই সিরিজে তিনিই ‘মুকেশ ছাবড়া’। সঙ্গে অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘আমি কিন্তু কোনও নতুন মুখ বা অভিনেতাদের নিয়ে আসিনি। সম্ভবত অঙ্কুর এই প্রথম পর্দায় কাজ করলেন। বাকি যাঁরা অভিনয় করেছেন তাঁরা বহু বার পর্দা আর মঞ্চে সফল।’’
কারা ‘মন্দার’-এর স্তম্ভ? সোহিনী সরকার, দেবেশ রায়চৌধুরী, দেবাশিস মণ্ডল, শঙ্কর দেবনাথ, সুদীপ শুভম ধাড়া, সজল মণ্ডল, অঙ্কুর, অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ। এঁরা প্রত্যেকেই এর আগে নানা ভূমিকায় বিভিন্ন মাধ্যমে দর্শকদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। সিরিজের ‘লর্ড ব্যাঙ্কো’ ওরফে ‘বঙ্কা’ শঙ্কর দেবনাথ এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, তিন ডাইনির এক জন ‘পেদো’ ওরফে সুদীপ শুভম ধাড়াকে দেখা গিয়েছিল ‘মন্টু পাইলট’ সিরিজে। সজল মণ্ডল ওরফে ‘মঞ্জু বুড়ি’ শ্যামল কর্মকারের ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দেবাশিস মণ্ডল ওরফে ‘মন্দার’ দিল্লির নিয়মিত মঞ্চাভিনেতা