‘শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে যে পরিমাণ মাতামাতি রয়েছে, তা আর কাউকে নিয়ে নেই এখন, তাই এই গানটি তৈরি করলাম,’ বললেন অনীক।
শোভন-বৈশাখী। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যয় নন। তাঁদের বেশে হাজির সঙ্গীতশিল্পী অনীক ধর এবং মডেল স্নেহা কর্মকার (রিম্পি)! লায়লা-মজনু, রোমিও-জুলিয়েট, হীর-রনঝাকে দশ গোল দিয়ে শোভন-বৈশাখীর প্রেমের জয়গান গাইলেন অনীক। উপলক্ষ দীপাবলি।
গানে ধরে রেখেছেন দুই মধ্যবয়স্কের ‘নবীন প্রেম’! আনন্দবাজার অনলাইনকে অনীক বললেন, ‘‘গানের অনুষ্ঠান ‘সা রে গা মা পা’ থেকেই আমি বিভিন্ন ধরনের গান গাই। আইটেম গান অথবা মান্না দে-র গাওয়া গান— সমস্ত ক্ষেত্রেই বিচরণ করি। বহু দিন ধরে চনমনে গান গাওয়া হয়নি। আমার কম বয়সি অনুরাগীরা মাঝে মাঝে এমন গান বানানোর জন্য অনুরোধ জানান ফেসবুকে। তাই এ বার এই গানটি তৈরি করলাম। আমি নিজেই লিখেছি, সুর দিয়েছি এবং গেয়েছি।’’
কিন্তু বহুল চর্চিত রাজনীতিক জুটি শোভন-বৈশাখীকেই কেন বেছে নিলেন? অনীকের কথায়, ‘‘অনেকেই মনে করতে পারেন, রাজনৈতিক উৎসাহ থেকেই এই গানটি বানিয়েছি। তা কিন্তু নয়। আমার মতে, এই মুহূর্তে ঐতিহাসিক প্রেমের জুটির তালিকার একদম শীর্ষে শোভন-বৈশাখী। তাঁদের নিয়ে যে পরিমাণ মাতামাতি রয়েছে, তা আর কাউকে নিয়ে নেই এখন। আমারও এই দু’জনকে একসঙ্গে খুব ভাল লাগে। তাঁদের প্রেমের গল্পটাকে তাই গানের আকারে নিয়ে এলাম। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’
অনীকের ঠোঁটে ফিরে ফিরে এল— ‘‘আমি তোর শোভন, তুই আমার বৈশাখী।’’
সাদা ধুতি পাঞ্জাবী। আটপৌরে ধাঁচে লাল বেনারসি। বাগানে নেচে, টোটোয় চেপে, পাশাপাশি হেঁটে ভালবাসার কথায় ডুব দিলেন অনীক এবং স্নেহা। অনীকের ঠোঁটে ফিরে ফিরে এল— ‘‘আমি তোর শোভন, তুই আমার বৈশাখী।’’