‘দ্য টেল অফ এ সান্তা অ্যান্ড হিজ মথ’
কিছু একটা করা যাক, শুধু এই ভাবনার বীজ বুনে দিয়েছিলেন অভিনেতা পবন চোপড়া। তার থেকেই জন্ম অনীক চৌধুরীর ‘দ্য টেল অব আ সান্তা অ্যান্ড হিজ মথ’। যে ছবি জুড়ে জীবন যুদ্ধ, না পাওয়ার যন্ত্রণা, আশা-নিরাশার আনাগোনা এক বাবা-মেয়ের যাপিত জীবন। আনন্দবাজার অনলাইনকে অনীক জানিয়েছেন, ‘‘বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সবাই মাথা ঘামান। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মানুষেরা প্রতি দিন যে ভাবে নিজেদের অস্তিত্ব, যৌন ভাবনা নিয়ে লড়েন সেটা চোখে পড়ে না! আমার গল্প সেই দিকে আঙুল রাখবে।’’ ইংরেজি ভাষায় তৈরি ছবিটি ১৯ মে কান উৎসবের ‘ফিল্ম বাজার’-এ ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টেয় দেখানো হবে।
সমস্যা এবং তার সমাধান খোঁজা পরিচালকের লক্ষ্য। তাই অনীক তাঁর ছবিকে অকারণ তারকাখচিত করেননি। পবন ছাড়া ছবির দ্বিতীয় অভিনেতা ঊষা বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরাই বাবা-মেয়ে। উভকামী বাবার অসুস্থ এক মাত্র মেয়ে। বড় দিনের আগে হঠাৎই বাবার কাছে তার বায়না আমন্ড কেক খাবে। বৃদ্ধ বাবা পেশায় অভিনেতা। পার্টির আকর্ষণ বাড়াতে নানা চরিত্রে নিজেকে সাজিয়ে উপস্থাপন করাই তাঁর কাজ। অনেক দিন ধরে সেই কাজেও মন্দা। কিন্তু মেয়ের আবদার এড়ানো যায়? বড় দিনের মরসুমে তাই বাবার নতুন সাজ সান্তাক্লজ! মনে স্বপ্ন, এ ভাবেই যদি স্বপ্নপূরণ করে মেয়ের জীবনের সত্যিকারের সান্তা হয়ে উঠতে পারেন তিনি। বদলে তাঁর আকাঙ্ক্ষা, মেয়ে যদি তাঁর অন্তরে লুকিয়ে থাকা মাতৃরূপের হদিশ পায়।
এ ভাবেই ভালবাসা আর মন্দবাসায় দুলতে দুলতে ছবিতে জীবন্ত হতে চলেছে বাবা-মেয়ের আখ্যান। অনীকের কথায়, ‘‘দুই বন্ধু অভিনেতার উৎসাহেই ছোট ছবি থেকে পূর্ণ দৈর্ঘ্যে পরিণত হয়েছে আমার ছবি। শুরু থেকেই ঠিক ছিল বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে আগে দেখানো হবে ছবিটি। তার পরে দেশের সীমিত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘দ্য টেল অব আ সান্তা অ্যান্ড হিজ মথ’। তারই প্রথম ধাপ কান উৎসবের ‘ফিল্ম বাজার’।’’