(বাঁ দিকে) অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনালী চৌধুরী (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।
চর্চায় নতুন ধারাবাহিক ‘মিত্তির বাড়ি’। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে দেড় বছর পরে ফের ছোট পর্দায় ফিরছেন আদৃত রায়। বিপরীতে পারিজাত চৌধুরী। ছোট পর্দায় এটাই তাঁর প্রথম কাজ। এই ধারাবাহিক আরও অনেক অভিনেতার জীবনেই প্রথম কিছু না কিছু বয়ে আনছে। যেমন, এই ধারাবাহিকে আদৃতের মা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল বড় পর্দার অভিনেত্রী এবং শাসকদলের কাউন্সিলার অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জ়ি বাংলার এই ধারাবাহিক দিয়ে তাঁরও ছোট পর্দায় যাত্রা শুরু। প্রথম, অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তীর বিপরীতে দেখা যেত তাঁকে। বুধবার জানা গিয়েছে, সেখানে বদল ঘটছে। ‘মিত্তির বাড়ি’র বড় বৌ হিসাবে নয়, অনন্যাকে দেখা যাবে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে। শঙ্করের বিপরীতে দেখা যাবে সোনালী চৌধুরীকে।
এই প্রথম তিনি মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন! তা-ও এক আইনজীবীর মা। অর্থাৎ, ছেলে পরিণত। সোনালী রাজি হলেন কেন?
শট দেওয়ার ফাঁকে আনন্দবাজার অনলাইনকে সোনালী বললেন, “আমিও পরিচালকের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছিলাম। আইনজীবী ধ্রুবর মা হিসাবে আমার বাড়তি কী করার আছে? পরিচালক জানিয়েছেন, চিরাচরিত মায়ের ভূমিকায় আমাকে ভাবেননি তাঁরা। চরিত্রটির অনেক স্তর। নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। অভিনয়ের সুযোগ পাব।” কিন্তু চট করে তো নায়কের মা হতে চান না কেউ! বাস্তবে এক সন্তানের মা তিনি। তাই কি সহজে রাজি হলেন সোনালী? অভিনেত্রী সে কথাও অস্বীকার করেননি। জানিয়েছেন, বাস্তবে মা হওয়ার পরেই তাঁর মনে হয়েছে, এ বার পর্দাতেও মা হতে পারেন তিনি।
কিন্তু এই যে বদল হল? তাঁর চরিত্রে আগে অভিনয়ের কথা ছিল অনন্যার? তাঁরই শঙ্কর চক্রবর্তীর বৌ-এর ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর দাবি, “আমাকে চ্যানেল থেকে বলা হয়েছে, এই চরিত্রে আমি অভিনয় করছি। অন্য কারও নাম কিন্তু বলা হয়নি। এ-ও বলা হয়নি, আগে অন্য অভিনেত্রীকে এই চরিত্রের জন্য বাছা হয়েছিল।”
চরিত্র বদলের বিষয়ে অনন্যা বললেন, “বদলের প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু বলার নেই। আমি ধারাবাহিক ‘মিত্তির বাড়ি’র এক জন সদস্য হিসাবেই রয়েছি। বড় পর্দায় ‘প্রধান’-এর পর এ বার এখানে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় আমাকে দেখবেন দর্শক। বাকিটা ধারাবাহিকের জন্য তোলা থাক?”